ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ) গ্রেপ্তার করার পর থেকে জামিনের আবেদনে বারবার স্ট্যান স্বামী বলে এসেছিলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সাজানো ও মিথ্যা।
কিন্তু কোনোভাবেই জামিন পাননি তিনি। অসুস্থ অবস্থাতেও বন্দি ছিলেন তিনি। সোমবার তার মৃত্যু হয়।
আর তারপরই সামনে এলো ভিমা-করেগাঁও মামলাসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
যুক্তরাষ্ট্রের এক সংস্থার ফরেনসিক রিপোর্ট স্ট্যান স্বামীর বক্তব্যকেই সমর্থন করছে।
রিপোর্ট বলছে, একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সুরেন্দ্র গ্যাডলিংয়ের কম্পিউটার হ্যাক করে কেউ বা কারা ভরে দিয়েছিল ভুয়া ফাইল। সেখান থেকেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সূত্রপাত।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ‘আরসেনাল কনসাল্টিং’ নামের ওই সংস্থার ফরেনসিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গ্যাডলিংয়ের বিরুদ্ধে যেসব প্রমাণ হাতে এসেছে, সেগুলো আসলে কেউ বাইরে থেকে কম্পিউটারে ভরে দিয়েছিল।
ভিমা-করেগাঁও সন্ত্রাসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এবং মাওবাদী যোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে ছিলেন আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং। পরে মোদিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগও আসে তাদের বিরুদ্ধে।
এনআইএর তদন্তকারীদের দাবি, ভিমা-করেগাঁও সন্ত্রাসের ঘটনায় এই ১৬ জনের মদত ছিল।
এদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ছিলেন স্ট্যান স্বামী। ইউএপিএ আইনে অভিযুক্ত ছিলেন তারা।
এদের মধ্যে রোনা উইলসন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মাস কয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রের এই সংস্থাই রিপোর্ট দেয় যে রোনা উইলসনের কম্পিউটার হ্যাক করে সেখানে ৩০টি ফাইল ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংস্থা সম্প্রতি সুরেন্দ্র গ্যাডলিংয়ের হার্ড ড্রাইভ খতিয়ে দেখে এই তথ্য দিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করার এত বড় ঘটনা এর আগে এই সংস্থা দেখেনি।
দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে সোমবার মৃত্যু হয় সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর।
আদিবাসী অধিকারের জন্য জীবনের দীর্ঘ সময় লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।
ভিমা-করেগাঁও মামলায় প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে ছিলেন স্ট্যান।
৮৩ বছরের খ্রিষ্টান মিশনারি স্ট্যানকে গত বছরের অক্টোবর মাসে গ্রেপ্তার করে এনআইএ।
তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে পুনের ভিমা-করেগাঁওয়ে মাওবাদীদের সাহায্যে সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগ ছিল।
ঘটনায় মাওবাদীদের ঘনিষ্ঠ সংগঠন এলগার পরিষদও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।