ইসরায়েলে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নবায়ন করতে পারেননি আইনপ্রণেতারা।
ইসরায়েলি নাগরিকদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে এমন ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলের নাগরিকত্ব পাওয়া আটকে দিতে ২০০৩ সালে প্রথম পাস হয় আইনটি।
হাজারও ফিলিস্তিনির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক আছে ইসরায়েলি নাগরিকদের। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা নাগরিকত্ব পান না।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রতিবছর নতুন করে আইনটিতে পার্লামেন্ট নেসেটের অনুমোদন লাগে।
আইনটিতে ইসরায়েলের নাগরিকের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনকারী অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর বা গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলি নাগরিকত্ব প্রদান নিষিদ্ধ।
পার্লামেন্টে এ বিষয়ে রাতভর বিতর্কের পর মঙ্গলবার ভোটে আটকে যায় বিষয়টি। এর পক্ষে-বিপক্ষে ভোট পড়েছে সমান ৫৯টি করে।
জোট সরকারে থাকা ইসরায়েলের সংখ্যালঘু মুসলিম দল ইউনাইটেড আরব লিস্টের দুই আইনপ্রণেতা ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন।
জুনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাফতালি বেনেট দায়িত্ব নেয়ার পর তার ও জোট সরকারের জন্য প্রথম বড় রাজনৈতিক পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছিল এ আইন পাস করাকে।
সমালোচকদের মতে, এটি বৈষম্যমূলক আইন। ইসরায়েলকে ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখার লক্ষ্যে এ আইন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
নাগরিকত্ব আইনের ওপর এ ভোটকে আস্থা ভোট হিসেবে আখ্যা দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেনেট।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের আনা বিলটিতে সমর্থন দিয়েছিলেন ডানপন্থি আইনপ্রণেতারা। বর্তমানে বিরোধী দল হিসেবে তারাই প্রধানমন্ত্রী বেনেটকে বিব্রত করতে নিজেদের প্রণীত আইনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।