করোনাভাইরাস মহামারির পরপর দুই ধাক্কায় বিপর্যস্ত ভারতে আসন্ন তৃতীয় ধাক্কা ঠেকাতে দিনে ৮৭ লাখ মানুষকে টিকা দিতে হবে।
১৩৩ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এ পর্যায়ে দৈনিক টিকা দেয়া হচ্ছে ৪০ লাখের কম, যা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকও নয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মহামারির তৃতীয় ধাক্কা যেন প্রথম দু’বারের মতো মারাত্মক রূপ না নেয়, সে প্রার্থনাই করছে ভারতবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্যবিদ ও টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে।
কিন্তু দেশটিতে টিকা দেয়ার হার পর্যাপ্ত নয়। টিকার ঘাটতির কারণে দিনে দিনে এটি আরও কমছে। এ অবস্থায় আবারও নিয়ন্ত্রণহীন সংক্রমণ শুরু হতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্যবিদদের মতে, তৃতীয় ধাক্কা এড়াতে ডিসেম্বরের মধ্যে মোট জনগোষ্ঠীর কমপক্ষে ৬০ শতাংশকে দুই ডোজ টিকা দিতে হবে। আর এ লক্ষ্য অর্জন করা যাবে এখন থেকে শুরু প্রতিদিন কমপক্ষে ৮৭ লাখ করে মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হলে।
এক সপ্তাহ ধরে ভারতে দৈনিক টিকা নিচ্ছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। অর্থাৎ ঘাটতি রয়েছে ৪৭ লাখের।
এর মধ্যে রোববার টিকা নিয়েছে মাত্র ১৫ লাখ মানুষ, যা প্রয়োজনের থেকে ৭২ লাখ ডোজ কম।
প্রতিদিনের ঘাটতির কারণে আগামী ছয় মাসে প্রায় ৮০ কোটি মানুষের দুই ডোজ টিকা নিশ্চিতে দৈনিক প্রদেয় ডোজও দিন দিন বাড়ছে, যা অর্জন অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
ভারতে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ছয় লাখের বেশি মানুষের দেহে। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ তিন হাজারের বেশি।
তিন মাসের মধ্যে সোমবার দেশটিতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল সর্বনিম্ন, ৪০ হাজারের কম।
কিন্তু ভাইরাসটি ছড়ানোর ধরন ও এর সংক্রমণ সংক্ষমতা বেশি বলে এখনও স্বস্তির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিদরা।
এ পর্যন্ত ভারতে করোনার টিকা নিয়েছেন ৩৫ কোটির বেশি মানুষ। চলতি বছরের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের টিকা প্রদান সম্পন্ন করতে চায় সরকার।
ভারতে করোনা ঠেকাতে চারটি টিকায় এ পর্যন্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি ও যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার টিকা।