যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় ও শেষ ডোজ নেননি প্রতি ১০ জনে কমপক্ষে একজন। মোটের হিসাবে এ সংখ্যা দেড় কোটির বেশি।
দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) জানিয়েছে, ১৬ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ না নেয়া মানুষের হার ছিল ১১ শতাংশ। পর্যাপ্ত সময় থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছা করেই টিকা নেননি তারা।
ওয়াশিংটন পোস্টের শনিবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বছরের শুরুতে এ হার ছিল ৮ শতাংশ। কয়েক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ না নেয়া মানুষের হার বৃদ্ধির বিষয়টি অপ্রত্যাশিত বলে মনে করছে সিডিসি।
যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজার-বায়োএনটেক আর মডার্নার টিকা অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ফাইজার-বায়োএনটেকের দুই ডোজ এবং চার সপ্তাহের ব্যবধানে মডার্নার দুই ডোজ টিকা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
প্রথম ডোজ নেয়ার ৪২ দিন পেরিয়ে গেলে দ্বিতীয় ডোজ বাদ পড়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।
দ্বিতীয় ডোজ না নেয়ার পেছনে কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে এক ডোজের বেশি টিকার প্রয়োজন নেই বলে মানুষের ভ্রান্ত ধারণাকে।
অনেকে আবার প্রথম ডোজ নেয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভোগেন বলে পুনরাবৃত্তির শঙ্কায় দ্বিতীয় ডোজ নেননি।
বাকিরা সময় করে উঠতে পারেননি বলে টিকা নেননি।
মহামারির এ পর্যায়ে রূপ পরিবর্তিত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এ অবস্থায় দুই ডোজ টিকা নেয়া খুব জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যবিদরা।
সিডিসি জানিয়েছে, টিকা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় শনিবার পর্যন্ত কমপক্ষে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ কোটি ২১ লাখের বেশি মানুষ।
বিপরীতে দুই ডোজ নিয়ে টিকা গ্রহণ সম্পন্ন করা মানুষের সংখ্যা ১৫ কোটি ৭০ লাখের কাছাকাছি।
মে মাসে যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় জানা যায়, ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ উপসর্গসহ করোনা ঠেকাতে মাত্র ৩৩ শতাংশ কার্যকর। দুই ডোজ নেয়ার পর এর কার্যকারিতা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮ শতাংশে।
এ অবস্থায় অধিক সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে টিকার ‘বুস্টার শট’ হিসেবে তৃতীয় ডোজের প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে অনেক দেশ।
এ অবস্থায় মানুষ দ্বিতীয় ডোজই না নিলে তৃতীয় ডোজ কীভাবে দেয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তিত অনেক স্বাস্থ্যবিদ।