আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর হাটে সব কর্মী ও ব্যবসায়ীকে বাধ্যতামূলক করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান।
দেশটির ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) রোববার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয় বলে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কোরবানির পশুর হাটে ঢোকার মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক সরবরাহ এবং দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতেও স্থানীয় প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছে এনসিওসি।
এনসিওসির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, শহরের ভেতরে কোনো পশুর হাট বসতে পারবে না। শহরের বাইরে বসতে হবে। শহরের অভ্যন্তরে পশু কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এ ছাড়া কোভিড-১৯-এর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাটের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
ওই দিন আলাদা একটি বিবৃতিতে পাকিস্তানের করোনার টিকাদান কার্যক্রমের তথ্য হালনাগাদ করে এনসিওসি।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তানিদের এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৭ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। জুনে দেয়া হয় ৮ লাখ ৩০ হাজারের বেশি ডোজ।
সংস্থাটি আরও জানায়, করোনার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এনসিওসির মহাপরিচালকের নেতৃত্বাধীন দল গিলগিট-বালতিস্তানে যায়।
গিলগিট, শিগার ও হুনজার টিকাদান কেন্দ্র ওই প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করে। ওই সময় স্থানীয় প্রশাসনকে দলটি আশ্বস্ত করে জানায়, নিবন্ধন করা জনগোষ্ঠীর সবাইকে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিওসি।
পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে শনিবার পর্যন্ত ৯ লাখ ৬১ হাজার ৮৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে মৃ্ত্যু হয় ২২ হাজার ৩৭৯ জনের।