আফগান সেনাবাহিনীর কবজা থেকে সাত শতাধিক ট্রাক, হামভিসহ কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান, গোলা ছোড়ার ব্যবস্থাসহ বিপুল পরিমাণে সমরাস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে তালেবানরা।
আফগানিস্তানের সামরিক ঘাঁটি ছেড়ে যাওয়ার সময় এসব সমরাস্ত্র আফগান সেনাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
সংবাদমাধ্যম দ্য সানের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জিওনিউজ।
স্টিজিন মিটজার এবং জুস্ট অলিম্যান্সের অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে ওরিক্স নামের ব্লগে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক মাসে ৭১৫টি হালকা সামরিক যান সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে তালেবানরা নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছিল। এ সময় সংঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় কমপক্ষে ৬৫টি সামরিক যান।
আফগান সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে এসব সমরাস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়ার দলিল হিসেবে ভিডিও বার্তা ও ছবি প্রকাশ করেছে তালেবানরা।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কিছু ছবি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
২০২০ সালে নাগারনো-কারাবাখ সংঘাতের সময় যেসব যুদ্ধাস্ত্রের খোঁজ পাওয়া যায়নি, তার ওপর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই ব্লগটি।
বাগরাম ঘাঁটি ছাড়ল যুক্তরাষ্ট্র
শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাগরাম বিমানঘাঁটি আফগান সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রায় দুই দশক পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তরাঞ্চলীয় এই বিমানঘাঁটি ছেড়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলা চালানো জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবানের সম্পর্কের জেরে আফগানিস্তানে সে সময় সামরিক অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।
মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয় তালেবানরা।
তালেবান উৎখাত হলেও আফগানিস্তান ছেড়ে যায়নি যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র ন্যাটোভুক্ত দেশের সেনারা।
চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরাতে নিজেদের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেনের ওই ঘোষণার পর ন্যাটোর অন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোও আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে।
আগস্টের শেষের দিকে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।