ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার সময় এক নৌকাডুবিতে বাংলাদেশিসহ ৪৩ জন অভিবাসীপ্রত্যাশীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
লিবিয়া থেকে ছেড়ে আসা নৌকাটি তিউনিসিয়ার উপকূল হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছিল। ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়।
তিউনিসিয়ার মানবিক সহায়তাকারী সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব তথ্য জানায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়া থেকে ইতালির দিকে যাওয়ার উদ্দেশে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছিল অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাটি। একপর্যায়ে এটি ডুবে যায়।
লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জুওয়ারা শহর থেকে রওনা হওয়া নৌকাটিতে বাংলাদেশ ছাড়াও মিসর, সুদান ও ইরিত্রিয়ার নাগরিক ছিল।
গত রোববার নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় বাংলাদেশিসহ ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। এ সময় দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরের দিন সোমবার তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, শুক্রবার রাতে লিবিয়ার জুওয়ারা বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া নৌকাটিতে বাংলাদেশ, মিসর, ইরিত্রিয়া, আইভরি কোস্ট, নাইজেরিয়া, সিরিয়া ও তিউনিসিয়ার নাগরিক ছিল।
২৪ জুন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছিল, লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা হওয়া ২৬৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি ছিল।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেন, দক্ষিণ তিউনিসিয়ার আশ্রয়কেন্দ্র অভিবাসনপ্রত্যাশীতে ভরে গেছে।
আইওএমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এক হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে যাওয়ার আশায় লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু তিউনিসিয়ায় তাদের থামতে হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১১ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া ছেড়ে যায়। গত বছরের প্রথম চার মাসের চেয়ে যা ৭০ শতাংশ বেশি ছিল।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মের মধ্যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৭৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়।