আগস্টের শেষের দিকে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাজধানী কাবুলের অদূরে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি বাগরাম যুক্তরাষ্ট্র ও সামরিক জোট ন্যাটোর সব সেনা শুক্রবার ছেড়ে যায়। বাগরাম ছাড়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা এ তথ্য দেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যে নিজেদের অবশিষ্ট সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
চলতি বছরের এপ্রিলে দেয়া বাইডেনের ওই ঘোষণার পর ন্যাটোভুক্ত অন্যান্য দেশও ওই সময়ের মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়।
বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ।
শুক্রবার বাগরাম বিমানঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা চলে যাওয়ার পর অনেকে ধারণা করেছিলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাকি সেনাদেরও সরানো হবে।
তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, এখনই নয়, আগস্টের শেষ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হবে।
সাংবাদিকদের সাকি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দীর্ঘদিন ধরে অনুভব করছিলেন, সামরিক অভিযান চালিয়ে আফগানিস্তান যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়।’
আফগানিস্তানের মাটি থেকে আগস্টের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও পরবর্তী কয়েক মাস দেশটিতে নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ ও মানবিক সহায়তা প্রদান যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত রাখবে বলে জানান সাকি।
বাগরাম বিমানঘাঁটির বিষয়ে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ আমান টুইটবার্তায় বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনী এই বিমানঘাঁটি পুরোপুরি ছেড়ে গেছে।
‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাগরাম ঘাঁটি এখন থেকে আফগান সেনাবাহিনী ব্যবহার করবে।’
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘বিদেশি সব সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পর দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, সে সিদ্ধান্ত এখন আফগানদেরই নিতে হবে।’
আফগানিস্তানের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ও মাদকাসক্ত ব্যক্তি বাগরাম বিমানঘাঁটির জিনিসপত্র লুট করতে চেয়েছিল। তবে আফগান সেনাবাহিনীর কারণে তারা তা করতে পারেনি।