পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে আবারও যৌথ সামরিক অভিযান শুরু করছে ফ্রান্স।
স্থগিতের এক মাসের মাথায় শুক্রবার এক ঘোষণায় এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থানের জেরে গত ৩ জুন মালির সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করেছিল ফ্রান্স প্রশাসন।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মালির অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী আর পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নমনীয় হয়েছে ফ্রান্স।
ফ্রান্সের সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রণলায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যৌথ সামরিক অভিযান শুরুর পাশাপাশি আগের মতোই মালির পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবে ফ্রান্স।
২০২০ সালের আগস্টে প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আসিমি গোইতার নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইতা।
এর পর গত মাসে মালির বেসামরিক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিয়ন্ত্রণ নেন গোইতা, যার জেরে বিভিন্ন দেশের তোপের মুখে পড়ে মালি।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা দেয়া স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র; সদস্যপদ স্থগিত হয় পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট ইকোয়াসে।
আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রক্তক্ষয়ী তৎপরতা বন্ধে প্রায় এক দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করছে মালি ও ফ্রান্স।
অঞ্চলটিতে ফ্রান্সের সামরিক অভিযান ‘বারখানে অপারেশন’-এর আওতায় বুরকিনা ফাসো, শাদ, মালি, মৌরিতানিয়া ও নাইজারে মোতায়েন আছে ৫ হাজার ১০০ ফরাসি সেনা।
গত ১০ জুন বারখানে অপারেশনে ইতি টানার ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
তিনি বলেছিলেন, এ অভিযানে নিয়োজিত হাজারো ফরাসি সেনাকে ফ্রান্স নেতৃত্বাধীন তাকুবা ইন্টারন্যাশনাল টাস্কফোর্সে সরিয়ে নেয়া হবে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী ও আন্তর্জাতিকভাবে তৎপর আরও কিছু গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত তাকুবা টাস্কফোর্স কাজ করে সাহেল অঞ্চলের স্থিতিশীলতা রক্ষায়। তাকুবায় বর্তমানে সেনা সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৬০০, যাদের অর্ধেকই ফরাসি।
এতে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে চেক রিপাবলিক, এস্তোনিয়া, ইতালি, রোমানিয়া ও সুইডেন।