পারস্পরিক সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে বিমান চলাচলে সহযোগিতামূলক চুক্তি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার দেশ দুটির বিমান সংস্থা ওই চুক্তি সই করে বলে আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকে সম্মত হয় আমিরাত।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনের আমিরাত সফরে যান ইসরায়েলের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ।
সফরকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে নিজেদের দূতাবাস উদ্বোধন করেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাপিদ। উপসাগরীয় দেশটিতে ইসরায়েলের এটিই প্রথম দূতাবাস।
আমিরাতে নিজেদের দূতাবাস উদ্বোধনের পর দেশটির সঙ্গে বিমান চলাচলের চুক্তি করল ইসরায়েল।
আমিরাত ও ইসরায়েলের বিমান সংস্থা যৌথ এক বিবৃতি জানিয়েছে, দুই দেশের নাগরিক এখন থেকে ভ্রমণ করতে পারবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত বছর আমিরাত ও ইসরায়েল আব্রাহাম অ্যাকর্ড সই করার পর দুই দেশের বিমান সংস্থার সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত হয়। তারই ভিত্তিতে বিমান চলাচলের চুক্তি হলো।
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের এল আল এয়ারলাইন আমিরাতের টিকিট বিক্রি করতে পারবে। আমিরাতের ইতিহাদ এয়ারলাইন ১৮ জুলাই থেকে আবুধাবি ও তেল আবিবে সপ্তাহে দুবার চলাচল করবে।
এরপর এল আল পরিচালিত ১৪ রুটে টিকিট বিক্রি করবে ইতিহাদ।
ইতিহাদের প্রধান নির্বাহী টনি ডগলাস বলেন, ‘এল আলের সঙ্গে আবুধাবি ও তেল আবিবে যাত্রী পরিবহন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।’
সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের পর তেল থেকে শুরু করে পর্যটকসহ প্রযুক্তি আদান-প্রদানের মাধ্যমে ইসরায়েল ও আমিরাত অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলে মনে করছে দেশ দুটি।