বিদেশি শক্তি চীনের ওপর কর্তৃত্ব খাটানো বা শাসানোর চেষ্টা করলে তাদের মাথা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং।
বৃহস্পতিবার সকালে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না (সিপিসি) প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপনের সময় তিনি এ সতর্কবার্তা দেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে সিপিসির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ৭০ হাজার মানুষের জমায়েত হয় বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়।
এই বিপুল গণসমাবেশে প্রায় এক ঘণ্টার জাতীয়তাবাদী ভাষণ দেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি। এ সময় আধুনিক চীন গঠনে কমিউনিস্ট পার্টির অবদান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
শি বলেন, কেবল সমাজতন্ত্রই চীনকে রক্ষা করতে পারবে। চীনা ধাঁচের সমাজতন্ত্রই দেশের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো কাউকে চীনকে শাসন, অধীন বা জুলুম করতে দেব না।
‘যারা এসব করার সাহস করবে, তাদের মাথা চীনের ১৪০ কোটি জনগোষ্ঠীর স্টিলের প্রাচীরে ভেঙে রক্তাক্ত করা হবে।’
চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুরসহ জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া বাণিজ্য, গুপ্তচরবৃত্তি ও করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বেড়ে যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা উইঘুরসহ হংকংয়ে চীনের কর্তৃত্ব নিয়ে সমালোচনা অব্যাহত রেখেছেন।
এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ অব্যাহত রেখেছে চীন। কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনও সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিতে ছাড়েনি দেশটি।
চীনের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের উত্তেজনার আরেকটি কারণ তাইওয়ান।
তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মনে করলেও বেইজিং একে নিজেদের প্রদেশ হিসেবে দেখে আসছে।
তাইওয়ান বিষয়ে পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনও প্রেসিডেন্ট শি জানান, তাইওয়ানের সঙ্গে বন্ধন শক্তিশালী করতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে চীন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক সংহতি রক্ষায় চীনের জনগণের সংকল্প, আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষমতা কেউ অবমূল্যায়ন করতে পারবে না।’