যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি শহরে অভিজাত বহুতল ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে আরও ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভবন ধসের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে আছে ৪ বছর ও ১০ বছর বয়সী দুই শিশু।
স্থানীয় প্রশাসন বুধবার জানায়, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ধ্বংসস্তুপে জীবিত কারো খোঁজ মেলেনি। এখনও নিখোঁজ ১৪৭ জন।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে ধসে পড়ে মায়ামি বিচ সংলগ্ন শ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ কন্ডোমিনিয়ামের আংশিক।
নিখোঁজদের প্রত্যেককে বের করার আগ পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলবে বলে জানিয়েছেন মায়ামির মেয়র। এখনও অনেকে জীবিত থাকতে পারে বলে আশাবাদী তিনি।
সন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছেন প্রায় ২০০ বিশেষজ্ঞ কর্মী। ১২ ঘণ্টা করে কাজ করছেন তারা। ঘ্রাণ শুঁকে জীবিত ও মৃতদের সন্ধান পেতে সাহায্য করছে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুটি কুকুর।
এছাড়াও আরও কয়েক শ ফায়ার সার্ভিসকর্মী, পুলিশ, প্রকৌশলী, পরিবেশ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্যরা যার যার মতো কাজ করছেন।
৪০ বছরের পুরোনো ভবনটির প্রায় অর্ধেক অংশ ধসে পড়ার কারণ এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তবে ২০১৮ সালে প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান মোরাবিটো কনসালট্যান্টসের একটি প্রতিবেদনে ভবনটির ১২ তলায় নির্মাণকাজ সংশ্লিষ্ট ত্রুটির উল্লেখ ছিল। সেটি কেন্দ্র করেই চলছে তদন্ত।
জানা গেছে, এপ্রিলেই ভবনটির তত্ত্বাবধানবিষয়ক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট চিঠি দিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছিলেন। ভবনের নিচে প্রকৌশলীদের শনাক্ত ফাটল অনেক বেড়ে গেছে বলে উল্লেখ ছিল চিঠিতে।
১৯৮১ সালে সার্ফসাইড শহরে তৈরি হয় আবাসিক কমপ্লেক্সটি। ধসের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে কয়েকটি দেশের কনস্যুলেট। আছেন প্যারাগুয়ের ফার্স্ট লেডির বোন, ভগ্নিপতি, তাদের তিন সন্তান ও একজন গৃহকর্মী।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেনের।