বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টুইটারের ভারতীয় প্রধান আটক

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২১ ১৩:০৩

চলতি মাসেই মনিষ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল গাজিয়াবাদে মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহের ঘটনায়। এক মাসে জোড়া এফআইআর নিয়ে টুইটারের ভারতীয় প্রধান চাপে পড়েছিলেন। তা সামলে ওঠার আগেই মণীশ মাহেশ্বরীকে মঙ্গলবার আটক করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

টুইটারের ভারতীয় প্রধান মনিষ মাহেশ্বরীকে আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। টুইটারে ভারতের বিকৃত মানচিত্র প্রকাশ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাতে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে একটি অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টা পরই মঙ্গলবার তাকে আটকের সংবাদ মিলেছে।

টুইটারে সোমবার ‘টুইপ লাইফ’ ওয়েবসাইটে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে ভারতের ম্যাপের বাইরে দেখানো হয়। এ ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বিতর্কিত সেই ম্যাপ তড়িঘড়ি মুছে ফেলে টুইটার। কিন্তু তাতে বিপদ কমেনি। টুইটারের ভারতীয় প্রধান মনিষ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশে ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) দাখিল হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫(২) ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি স‌ংশোধিত আইন অনুসারে মনিষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।

এর আগে চলতি মাসেই মনিষ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল গাজিয়াবাদে মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহের ঘটনায়। এক মাসে জোড়া এফআইআর নিয়ে টুইটারের ভারতীয় প্রধান চাপে পড়েছিলেন। তা সামলে ওঠার আগেই মণীশ মাহেশ্বরীকে মঙ্গলবার আটক করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

বুলন্দশহরের সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ সন্তোষ কুমার সিং জানান, প্রবীণ ভাটি নামের আইনজীবি টুইটার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। মহেশ্বরীর পাশাপাশি অমৃতা ত্রিপাঠী নামে আরেকজনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টুইটারের সম্পর্ক বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘাতপূর্ণ। গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ নিয়ে টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত শুরু। ভারতে নয়া ডিজিটাল আইন অনুযায়ী টুইটারের রেসিডেন্স, গ্রিভেন্স ও কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রের হাতে তারা সে তথ্য পৌঁছায়নি।

টুইটার ধর্মেন্দ্র চতুর নামে এক আইন বিশেষজ্ঞকে গ্রিভেন্স অফিসার পদে নিয়োগ করে। কিন্তু কেন্দ্র জানায়, এই পদে সংস্থার বাইরের কাউকে নিয়োগ করা যাবে না। তাই পদত্যাগ করতে হয় ধর্মেন্দ্র চতুরকে। টুইটার তার জায়গায় মার্কিন কর্মচারী জেরেমি কেসেলকে নিয়োগ দেয়। সেখানেও নিয়ম ভঙ্গ হয় বলে অভিযোগ উঠে।

ভারত সরকার এ বিষয়ে টুইটারকে সাফ জানিয়ে দেয় – ‘শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকই এই পদে বসতে পারবেন।’

এর কয়েকদিন আগে টুইটার কতৃপক্ষ কপিরাইট নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয়। এরপরই গাজিয়াবাদ মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহ ঘটনা নিয়ে টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধ চরমে পৌঁছে।

এ বিভাগের আরো খবর