বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টুইটারের ওয়েবসাইটে ‘ভুল’ মানচিত্র, বাদ কাশ্মীর ও লাদাখ

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২১ ২১:৫৭

টুইটারের সঙ্গে ভারতের সমস্যা নতুন নয়। এর আগে একটি মানচিত্রে লাদাখ ও কাশ্মীরের অবস্থান দেখানো হয়েছিল চীনে। সেখানেও অভিযুক্ত ছিল টুইটার। ওই সময় টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আবারও মানচিত্র বিকৃতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি টুইটার।

টুইটারের সঙ্গে ভারত সরকারের সংঘাত এখনও চলছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ইস্যুতে এই যুক্তরাষ্ট্রের এই সংস্থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের তোপের মুখ পড়তে হচ্ছে। এরই মধ্যে সামনে এল মানচিত্র বিতর্ক। এবার অভিযোগ উঠেছে টুইটারের একটি ওয়েবসাইটে ভারতের বিকৃত মানচিত্র প্রকাশের।

এই ঘটনায় যে আরও একবার টুইটারকে কেন্দ্রের রোষের মুখে পড়তে হবে সেটি অনুমান করা যায়। টুইটারের ‘টুইপ লাইফ’ নামে একটি বিভাগে ভারতের একটি মানচিত্র আপলোড করা হয়েছে, যেখানে বাদ পড়েছে কাশ্মীর ও লাদাখ।

সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই অভিযোগে টুইটারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কেন্দ্র। এখানেই শেষ নয় দ্বন্দ্ব।

সোমবার টুইটার ভারত শাখার অভিযোগ কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জেরেমি কেসেলকে। কিন্তু কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতিতে সাফ বলা রয়েছে, এই পদে থাকতে পারবেন একজন ভারতীয়ই। তাহলে কেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিককে এই পদে বসাল টুইটার সেটি প্রশ্ন উঠেছে।

বলে জানা গেছে, টুইটারের ‘ক্যারিয়ার’ বিভাগ টুইপ লাইফে কোনো টুইটার ব্যবহারকারী ওই বিকৃত মানচিত্র আলপোড করেছেন। সেই মানচিত্রে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে ভারত থেকে বিছিন্ন অবস্থায় দেখানো হয়েছে। মানচিত্র প্রকাশ্যে আসাতে ভারতীয়রা অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

যদিও মানচিত্র নিয়ে টুইটারের সঙ্গে ভারতের সমস্যা নতুন নয়। এর আগে একটি মানচিত্রে লাদাখ ও কাশ্মীরের অবস্থান দেখানো হয়েছিল চীনে। সেখানেও অভিযুক্ত ছিল টুইটার। ওই সময় টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। মানচিত্রের বিকৃতি কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছিল ভারত।

সোমবার আবার সেরকমই একটি মানচিত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়তে অনেক ভারতীয়ই প্রতিবাদ করেছেন। তবে এখন এই ইস্যুতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি টুইটার।

টুইটারের সঙ্গে সরকারের সংঘাত চলছেই। নয়া ডিজিটাল আইন নিয়ে প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রের নিয়ম মানতে নারাজ সংস্থাটি। এদিকে পাল্টা নিয়ম কার্যকরে করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। মামলা গড়িয়েছে আদালতেও। অবশেষে কেন্দ্রের ‘শেষ নোটিশে’ নিয়ম মানতে রাজি হয়েছিল টুইটার।

সে অনুযায়ী নিয়োগ হয়েছিল অভিযোগ কর্মকর্তা ধর্মেন্দ্র চতুরের। কিন্তু কেন্দ্রের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এমন অবস্থায় টুইটারের তুরুপের তাস জেরেমি কেসেল। যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তাই ভারতে টুইটারের অভিযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন।

কিন্তু কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতিতে সাফ বলা রয়েছে, এই পদে থাকতে পারবেন একজন ভারতীয়ই। তাহলে কেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তাকে এই পদে বসাল টুইটার?

দিল্লি হাইকোর্টে টুইটার জানিয়েছিল, আইন বিশেষজ্ঞ ধর্মেন্দ্র চতুরকে অভিযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পাল্টা কেন্দ্রের সাফ জবাব ছিল, এ ধরনের স্থায়ী বিধিবদ্ধ পদের জন্য বাইরে থেকে কাউকে নিয়োগ করা চলবে না।

তাই রোববারই পদত্যাগ করেন ধর্মেন্দ্র চতুর। এরপরই আমেরিকা থেকে জেরেমি কেসেলকে নিয়ে এল টুইটার। এখন দেখার বিষয় সরকার ওই নিয়োগ মেনে নেয় কি না।

এ বিভাগের আরো খবর