নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় বাংলাদেশিসহ ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। এ সময় দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার ইনফোমাইগ্রেন্টস ও বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জেকরি বলেন, রোববার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহন করা নৌকাটি লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভেঙে যায়। ওই সময় ভূমধ্যসাগর থেকে ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাসীকে উদ্ধার করা হয়।
তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে অভিযানে দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহও উদ্ধার করা হয়।
মোহাম্মদ জেকরি আরও বলেন, নৌকাটি ডুবু ডুবু ছিল। পাশেই একটি তেলক্ষেত্র সে সময় বিপৎসংকেত পাঠায়।
তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার রাতে লিবিয়ার জুওয়ারা বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া নৌকাটিতে বাংলাদেশ, মিসর, ইরিত্রিয়া, আইভরি কোস্ট, নাইজেরিয়া, সিরিয়া ও তিউনিসিয়ার নাগরিক ছিল।
ভূমধ্যসাগরে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এ নিয়ে দুবার বড় ধরনের উদ্ধার অভিযান চালাল তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী।
এর আগে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছিল, লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা হওয়া ২৬৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি ছিল।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেন, দক্ষিণ তিউনিসিয়ার আশ্রয় কেন্দ্র অভিবাসনপ্রত্যাশীতে ভরে গেছে।
আইওমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এক হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে যাওয়ার আশায় লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু তিউনিসিয়ায় তাদের থামতে হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১১ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া ছেড়ে যায়। গত বছরের প্রথম চার মাসের চেয়ে যা ৭০ শতাংশ বেশি ছিল।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মের মধ্যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৭৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়।