যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি শহরে ধসে পড়া ভবনের মূল নকশায় ত্রুটির বিষয়টি ২০১৮ সালের পরিদর্শনে ধরা পড়েছিল।
তিন বছর আগে ওই ভবন পরিদর্শন করা ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেঙ্ক মোরাবিটো এ বিষয়ে প্রতিবেদনটি শুক্রবার প্রকাশ করেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ তলা আবাসিক ভবনটির একাংশের অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক থেকে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল।
তিনি বলেন, ‘ভবনটির নিচে সুইমিং পুলের পাশের মূল কলাম ও বিমগুলোয় ওয়াটার প্রুফ ব্যবস্থা ছিল না। এতে ধীরে ধীরে ভবনটির মূল কাঠামো হুমকির মুখে পড়ে।’
ভবনধসের ঘটনায় নিখোঁজ ১৫৯ জনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা এখন ক্ষীণ হয়ে গেছে।
এর আগে মায়ামি-ডেড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েল লেভিন কাভা জানান, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফ্লোরিডায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এ অবস্থায় রাজ্যের উদ্ধারকর্মীদের সহায়তা করবে ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি।
১৯৮১ সালে সার্ফসাইড শহরে নির্মাণ হয় আবাসন কমপ্লেক্সটি। ভবনধসের ফলে কমপ্লেক্সের ১৩০টি ইউনিটের অর্ধেকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভবনধসের পরপর ছোটখাটো অগ্নিকাণ্ড হয় সেখানে। ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণেও আনে ফায়ার ব্রিগেড।
এ পর্যন্ত ৩৫ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে কয়েকটি দেশের কনস্যুলেট।