পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল ৩০ বছর আগে। অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে জলে নামতে চলেছে ভারতে তৈরি প্রথম এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ‘আইএনএস বিক্রান্ত’।
রণতরীটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ এ। এরপর নানা কারণে পিছিয়ে যেতে থাকে কয়েক হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প। এর মধ্যে কোভিডের দাপাদাপিতে নতুন করে ধাক্কা খায় প্রকল্পের অগ্রগতি। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং শুক্রবার জানিয়েছেন, আগামী বছরই শত্রু মোকাবিলায় সমুদ্রে নামবে রণতরীটি।
‘আইএনএস বিক্রান্ত’ ইন্ডিজেনাস এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ১ বা আইএসি-১ নামেও পরিচিত। কেরলের কোচি শিপইয়ার্ড লিমিটেডে নির্মিত হয়েছে এই যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী। কোচিতে ওই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে রাজনাথ সিং বলেন, ‘আগামী বছরই জলে নামবে এই রণতরী। আগামী বছর ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। এ উপলক্ষে দেশের নৌবাহিনীতে বড় একটি সাফল্যের ঘোষণা হতে চলেছে।’
২৪ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য ছিল ২০১৮ এ। তবে নানা কারণে সেটি পিছিয়ে যায়। নৌবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০২০ সালের নভেম্বরে রণতরীটির ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এই রণতরীর ৪০ হাজার টন ওজন বহন করার ক্ষমতা থাকবে বলে জানা গেছে।
১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজের তত্ত্বাবধানে প্রথম এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১১ সালে এর নির্মাণকাজ মোটামুটিভাবে শেষ হয়। ২০১৩-র ১২ আগস্ট প্রথম জলে নামানো হয় রণতরীটিকে।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ভারতে যত রণতরী তৈরি হয়েছে এর মধ্যে এটির ডিজাইন সবচেয়ে জটিল। এটি দৈর্ঘ্যে ২৮২ মিটার, প্রস্থে ৬২ মিটার। রণতরীতে একসঙ্গে ২৫-৪০টি এয়ারক্রাফট থাকতে পারবে। এই রণতরীতে যে যুদ্ধাস্ত্র আছে সেটি যে কোনো ধরনের রণকৌশলের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে। এতে রয়েছে দুটি ৩২ সেল যুক্ত ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম, যেখান থেকে ৬২টি মিসাইল ছোড়া সম্ভব। ইজরায়েলের তৈরি বারাক ওয়ান মিসাইল সিস্টেমও থাকবে আইএনএস বিক্রান্তে।