কাশ্মীর নিয়ে যখন কেন্দ্রের ডাকা সর্বদল বৈঠক চলছে, তখন কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘মানুষের থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিলে, সবকিছু শেষ হয়ে যায়। মানুষের স্বাধীনতা না থাকলে, দেশের কোনো অর্থ থাকে না। সরকারের এই একনায়কতান্ত্রিক মনোভাবের কারণেই ভারতের নাম খারাপ হয়েছে বিশ্বমঞ্চে।’
জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর, এই প্রথম কেন্দ্রের তরফে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস, বিজেপি ছাড়া উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্ব।
প্রথম থেকেই কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে থাকা মমতা বললেন, ‘বিষয়টা আমি খুব একটা অবগত না থাকার কারণে মন্তব্য করতে পারব না। তবে কাশ্মীর থেকে রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নেয়া খুবই প্রয়োজন ছিল কি? এ কারণে কিন্তু কেন্দ্র সরকারের অনেক সমালোচনা হয়েছে।’
২০১৮ সালে মেহবুবা মুফতি সরকার থেকে বিজেপির সমর্থন প্রত্যাহার করার পর থেকেই কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। এরপর ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, বিশেষ পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নেয়।
জম্মু-কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস বিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেয়া হয়। এখন আবার সেখানে নির্বাচন নিয়ে জল্পনা শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে কেন্দ্র সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে।
বৈঠকে কংগ্রেস, মেহবুবা মুফতি, ফারুক আব্দুল্লাহরা কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি তুললেও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এ বিষয়টি সঠিক সময়ে আলোচনা হবে। এখনও সময় আসেনি।’