ভারতের তিন রাজ্যে করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্লাস প্রজাতির খোঁজ মিলতেই তৈরি হয়েছে নতুন উদ্বেগ।
ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্ত হওয়া এক নারীর মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে সে রাজ্যে এটাই প্রথম মৃত্যু।
মৃত নারী উজ্জয়িনীর বাসিন্দা। সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন বুধবার এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে করোনার এই নতুন প্রজাতি।
তবে ইনস্টিটিউট অব জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটেড বায়োলজির ডিরেক্টর ড. অনুরাগ আগরওয়াল জানালেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য ডেল্টা প্রজাতিকেই দায়ী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ভাইরাসের এই প্রজাতির প্রথম খোঁজ মিলেছিল ভারতেই, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেই তা ধরা পড়ে। ভাইরাসের মিউটেশন হয়েছে কিনা, তা জানার জন্য প্রয়োজন জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের। করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেই অস্তিত্ব মিলেছে ডেল্টা প্লাসের।
এ বিষয়ে ড. আগরওয়াল বলেন, ‘এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আপাতত এমন কোনও প্রমাণ নেই যা তৃতীয় ঢেউয়ের কারণ হিসাবে ডেল্টা প্লাস প্রজাতিই দায়ী থাকবে বলে ইঙ্গিত দেয়।”
তিনি জানান, কেবল জুন মাসেই মহারাষ্ট্র থেকে সংগৃহীত সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। এই নমুনাগুলি এপ্রিল ও মে মাসে সংগ্রহ করা হয়েছিল। নমুনাতেই ডেল্টা প্লাস প্রজাতির খোঁজ মেলে।
কিন্তু এখনও অবধি তাতে সংক্রমণের হার ১ শতাংশেরও কম। ডেল্টা প্রজাতি বা তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার তুলনায় বর্তমানে দ্বিতীয় ঢেউ এখনও কেন শেষ হয়নি, তা নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে সংক্রমণ রুখতে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আবেদনও জানান।
ভারতে এখন অবধি ৪০ জন ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, কেরল ও মধ্য প্রদেশে কেন্দ্রের তরফে বিশেষ সতর্কবাণী পাঠানো হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে কন্টেনমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।