‘অ্যালোপ্যাথি’ নিয়ে যোগগুরু রামদেবের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাজ্যে রাজ্যে মামলা হয়েছে। সেসব মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে রামদেব চাইছেন শীর্ষ আদালত সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাকে রক্ষাকবচ দিক। পাশাপাশি সব মামলা দিল্লির আদালতে স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গ্রেপ্তার নিয়ে নেটমাধ্যমে সরাসরি প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে দেখা গেছে রামদেবকে। টুইটারে ‘অ্যারেস্ট রামদেব’ ট্রেন্ড শুরু হতেই আসরে নামেন তিনি।
রীতিমতো হাসির ছলে কেন্দ্রকে নিশানা করে রামদেব বলেছিলেন, ‘ওর বাবাও গ্রেপ্তার করতে পারবে না। ওরা ঠগ রামদেব, গ্রেপ্তার রামদেব এসব ট্রেন্ড করাচ্ছে নেটমাধ্যমে। ওরা এ রকম করুক। আমার লোকেরা এসব দেখে অভ্যস্ত।’
গত মাসে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিপর্যয়ের মধ্যে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ এবং ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে এর প্রভাব সম্পর্কে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করেছিলেন রামদেব।
এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা বা অক্সিজেন না পেয়ে যত মানুষ মারা গেছে, তার চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে। অ্যালোপ্যাথি এক দেউলিয়া হওয়া বিজ্ঞান।’
ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, ‘টিকার দুটি ডোজ পাওয়ার পরও ১ হাজার চিকিৎসক মারা গেছেন। নিজেদের বাঁচাতে না পারলে এরা কী ধরনের ডাক্তার?’
ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। নড়েচড়ে বসে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। রামদেবকে আইনি নোটিশ ধরানো হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
১ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি চিঠি লিখে হস্তক্ষেপেরও দাবি জানানো হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন আসরে নামেন। তিনি রামদেবকে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করেন।
রামদেব ভাঙেন তবু মচকাবেন না। মন্তব্য ফিরিয়ে নিলেও অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে ২৫টি প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।
তার মূল বক্তব্য, ২০০ বছরেও অ্যালোপ্যাথি বহু রোগ নিরাময় করতে পারেনি।