করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাদের মধ্যে সংক্রমণ রুখতে মায়েদের টিকা দেয়ায় অগ্রাধিকার দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় আগেই কিছু সতর্কতামূলক পরিকল্পনা নিয়েছে। টিকা প্রয়োগের বিষয়ে জোর দেয়া হচ্ছে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ওপর। সদ্যোজাত শিশু থেকে ১২ বছর বয়সী পর্যন্ত শিশুদের সংক্রমণ ঠেকাতে মায়েদের টিকা দিতে চাইছে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১২ বছর বয়সী শিশুরা মায়েদের সঙ্গে থাকে। মায়েরা তাদের দেখভাল করেন। যাতে মায়েদের থেকে শিশুদের করোনা সংক্রমণ না হয়, তাই এবার গুরুত্ব দিয়ে মায়েদের টিকাকরণ করা হবে।’
লকডাউনের মতো কড়া বিধিনিষেধের ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ বয়ে আনবে মারাত্মক শক্তিশালী করোনার ‘ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট’।
করোনার এই নতুন স্ট্রেইনের উপস্থিতি ইতোমধ্যে ভারতের ৪০ জনের দেহে মিলেছে।
বুধবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রিভিউ বৈঠক করেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যসচিব এদিন সাংবাদিকদের জানান, ‘সংক্রমণ অনেকটা কমেছে, কোথাও কোথাও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একশোর নিচে। পজিটিভিটি রেট হয়েছে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। সংক্রমণে লাগাম পরাতে রাজ্যে ২৫০ এর বেশি কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে।’
এছাড়াও করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে পেডিয়াট্রিক শয্যা বাড়ানো, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেডিক্যাল কলেজে পেডিয়াট্রিক কেয়ার বৃদ্ধি, জুলাইয়ের মধ্যে ১৩০০টি পেডিয়াট্রিক আইসিইউ তৈরি করা এবং ৩৫০টি এসএনসিইউ তৈরি করা এবং সরকারি হাসপাতাল ১০ হাজার শয্যা বাড়ানো।