করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন মোকাবিলায় সম্প্রতি নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন, হংকংসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এর ফলে দেশগুলোর বাইরে থাকা নাগরিকেরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
এই নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টজয়ী হংকংয়ের বাসিন্দা সাং ইন-হুং।
এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে সাং আটকে পড়েছেন নেপালে। শুধু তিনিই নন, তার সঙ্গে রয়েছেন আরও কয়েকজন চীনা পর্বতারোহী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালে মাসখানেক ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। ভাইরাসটির আঘাত থেকে বাদ পড়েনি এভারেস্টের বেজ ক্যাম্পও।
নেপালে করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার এখন ২৪ শতাংশের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে এভারেস্টে আরোহণ মৌসুম শুরুর পরপরই দেশটির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুরু হয়।
গত মাসে ২৫ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের মধ্যে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছতে সক্ষম হন ৪৪ বছর বয়সী সাং। দ্রুততম সময়ের ভেতর এভারেস্টের শিখরে ওঠা নারী আরোহণকারীদের মধ্যে রেকর্ড করেন তিনি।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর এক হোটেলে অবস্থান করছেন সাং। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘বাড়ি ফেরা মনে হচ্ছে এভারেস্টের ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার উঁচু চূড়ায় ওঠার চেয়ে কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘এভারেস্ট জয় সম্ভব। তবে বাড়ি ফেরা অসম্ভব ঠেকছে। নেপাল থেকে চীন বা হংকংয়ে যাওয়ার কোনো ফ্লাইটই নেই।’
নেপালের কর্মকর্তারা জানান, চীন থেকে প্রতি সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট আসে। তবে এগুলো এখন বন্ধ রয়েছে।
নেপালে চীনের দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
নেপালে থাকা বিশ্বের অন্যান্য দেশের আরোহীরা মূলত চার্টার্ড ফ্লাইটে (ভাড়া করা বিমান) বাড়ি ফিরছেন।
চীনা পর্বতারোহী ৩৪ বছর বয়সী সান ই কুয়ান এরই মধ্যে তিনবার এভারেস্ট জয় করেছেন। তবে চলতি বছরের মে মাসে এভারেস্টের বেজ ক্যাম্পে করোনার সংক্রমণ দেখা দিলে পর্বতশৃঙ্গটি চতুর্থবারের মতো জয় করা হয়ে ওঠেনি তার।
সান জানান, তিনিসহ তার দলের ১৩ আরোহী ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
এভারেস্টে উঠতে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান সেভেন সামিট ট্র্যাকস কোম্পানির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাশি লাকপা শেরপা বলেন, কাঠমান্ডুতে এই মুহূর্তে ৩০ জনের বেশি চীনা পর্বতারোহী আটকা পড়েছেন।