কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অঙ্গরাজ্যে আদিবাসীদের জমিতে নির্মিত শতবর্ষের পুরনো দুটি ক্যাথলিক গির্জা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুলিশের ভাষ্য, দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে আগুন লাগানো হয়েছে।
দেশটির জাতীয় আদিবাসী দিবসের দিন স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় ১০০ বছরের বেশি সময় আগে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে স্যাকরেড হার্ট চার্চ ও সেন্ট গ্রেগরি’জ চার্চ নামের গির্জা দুটি নির্মাণ করা হয়। সোমবার প্রায় একই সময় গির্জা দুটিতে আগুন লাগে।
কানাডার ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, ধারণা করা হচ্ছে, আগুন লাগাতে তরল কিছু ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার পেনটিকটন ইন্ডিয়ান ব্যান্ড রিজার্ভ ও ওসোয়ুস ইন্ডিয়ান ব্যান্ড রিজার্ভে থাকা গির্জা দুটি একই অঙ্গরাজ্যের ক্যামলুপস শহর থেকে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরে অবস্থিত।
গত মে মাসে ক্যামলুপসে পরিত্যক্ত এক আবাসিক স্কুল থেকে ২১৫ আদিবাসী শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
কানাডার মূলধারার সংস্কৃতি আয়ত্তে আনাতে ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে হাজার হাজার আদিবাসী শিশুকে জোর করে আবাসিক স্কুলে রাখা হতো। ওইসব স্কুলের বেশির ভাগই ক্যাথলিক গির্জা পরিচালনাধীন ছিল।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার পেনটিকটন শহরের পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুর ১টার দিকে স্যাকরেড হার্ট চার্চে আগুনের শিখা দেখতে পান এক পুলিশ কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখন পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার অলিভার শহরের পুলিশ দুপুর ৩টা ১০ মিনিটের দিকে সেন্ট গ্রেগরি‘জ চার্চে আগুন লাগার ঘটনা জানতে পারে।
ঐতিহাসিক দুটি গির্জাই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
অলিভার শহরের ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান বব গ্রাহাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল ও আশপাশের জায়গা দেখে আমরা মনে করছি, আগুন লাগাতে তরল দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে।’
কানাডার কেন্দ্রীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) মুখপাত্র সার্জেন্ট জ্যাসন বায়ডা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অগ্নিসংযোগের ঘটনা মনে হচ্ছে। সব ধরনের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখছে আরসিএমপি।
‘ এ ঘটনায় আমরা সংবেদনশীল। তবে অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্যের বিষয়ে অনুমাননির্ভর হতে রাজি নই।’