বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিজেপি ভেঙে আলিপুরদুয়ারের গঙ্গাপ্রসাদ তৃণমূলে

  •    
  • ২১ জুন, ২০২১ ২০:৪১

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির মোদি-অমিত শাহ জুটি ব্যর্থ হওয়ার পর বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূল ফিরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। আর সোমবার তৃণমূল ভবনে সুখেন্দু শেখর রায়, মুকুল রায়, ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাসহ বিজেপির ৮ নেতা।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির মোদি-অমিত শাহ জুটি ব্যর্থ হওয়ার পর বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূল ফিরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। আর সোমবার তৃণমূল ভবনে সুখেন্দু শেখর রায়, মুকুল রায়, ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাসহ বিজেপির ৮ নেতা।

আরএসএসের হাত ধরে উঠে আসা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা আলিপুরদুয়ারে বিজেপির জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভালো ফলের পিছনে তার ভূমিকা ছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপি দখলে রেখেছে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার নেতৃত্বে।

তবে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সভাপতি জানান, ‘ভোটের আগে জেলা নেতৃত্বকে না জানিয়ে, একের পর এক নেতাকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দলে যোগদান করানো হয়েছে। আমাদের কোন কিছু জানানো হয়নি। জেলা নেতৃত্বকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তখন থেকেই দূরত্ব। কারণ ভোটের আগে দল ছাড়লে গদ্দার বলত। ভোটের ফল দেখিয়ে দিয়েছি। পাঁচটা আসনই বিজেপির দখলে।’

‘আগে থেকেই তৃণমূলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বিজেপি, জেলার নেতাদের গুরুত্ব দেয় না। তাই দল ছেড়ে এলাম।’

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত তৃণমূল নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘এটা বিজেপির শেষের শুরু। বিজেপি যেখানে নিজেদের শক্তিশালী বলে দাবি করছে সেই উত্তরবঙ্গ থেকেই আগে ভাঙন ধরলো ওই দলে। এরপর আরও দেখবেন।’

রোববার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘আমরা আরও বড় গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৈরি করব।’ তৃণমূলে যোগ দিয়ে গঙ্গাপ্রসাদ তার জবাব দিয়ে বলেন, ‘শুভেন্দু বাবু তো পদের লোভে দলে এসেছেন। বিধানসভার টিকিট না দিলে, বিরোধী দলনেতা না করলে, তিনি কি বিজেপিতে থাকবেন? এই তো দলে এলেন, বড় বড় কথা বলছেন এখন। আর বিজেপি এদের নিয়ে নাচানাচি করছে। বিজেপি নিজের দলের নেতাদের কোন গুরুত্ব দেয় না।’

একই সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের এমপি জন বার্লাকে তুলোধোনা করে সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয়া গঙ্গাপ্রসাদ। তিনি অভিযোগ করেন, ‘এমপি হিসেবে বার্লা কোন কাজ করেননি। মানুষের সেন্টিমেন্টকে হাওয়া দিয়েছেন মাত্র। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে অনেক কাজ করতে পারে বিজেপি। অনেক বিকল্প রয়েছে।’

সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূলের রাজ্যসভার এমপি সুখেন্দু শেখর রায় বিজেপিতে ভাঙ্গন প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপির এখন দলে কপালকুণ্ডলা প্রয়োজন। যিনি বলবেন, পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ।’

অন্যদিকে তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘একদিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করছে, অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে ভাঙ্গনের কথা বলছে। বিজেপির আদর্শেই দ্বিচারিতা চলছে। বিজেপির বাঙালি বিরোধিতা বিচার করে দেখা হোক।’

বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করেছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকেই মুকুল রায়ের হাত ধরে বড়সড় ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। সোমবার আলিপুরদুয়ারে বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে মুকুলের, শেষের শুরু মন্তব্যে বিজেপি আরও ভাঙ্গনের মুখে পড়তে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ বিভাগের আরো খবর