বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিমের হুমকিতে ‘আশা’ দেখছে যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ২১ জুন, ২০২১ ১১:৫৯

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্সের উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘তার (কিম জং উন) গত সপ্তাহের কথাবার্তা আমাদের একটি ইতিবাচক সংকেত দিয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি বিষয়টি নিয়ে দেশটি আরও জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে।’

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে ‘আলোচনা বা বোঝাপড়া’র যে বার্তা দিয়েছিলেন তাকে আশা জাগানিয়া হিসেবে দেখছে বাইডেন প্রশাসন।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণরূপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করতে পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে প্রত্যাশার কথাও তুলে ধরেছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্সের উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘তার (কিম জং উন) গত সপ্তাহের কথাবার্তা আমাদের একটি ইতিবাচক সংকেত দিয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি বিষয়টি নিয়ে দেশটি আরও জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে।’

তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন যা বলেছেন তা হলো, কোরীয় উপদ্বীপকে পরামাণু কর্মসূচিমুক্ত করতে মধ্যস্ততা করতে যুক্তরাষ্ট্র রাজি আছে। সে জন্য বিষয়টির সঙ্গে জড়িত থাকতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত।’

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশ ‘আলোচনা কিংবা বোঝাপড়া’ দুটোর জন্যই প্রস্তুত আছে। ‘বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত’ থাকার কথা জানান কিম।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতা নেয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এমন মন্তব্য করেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনও কিমের বরাতে জানায়, তাদের ‘বিশেষ করে, রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা ও স্বাধীন বিকাশে স্বার্থ রক্ষায় তার দেশ বোঝাপড়ার জন্য প্রস্তুত’ রয়েছে।

এমনকি প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পিয়ংইয়ং স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের মিত্রদের অবরোধের কারণে তাদের দেশ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নে এর আগে উদ্যোগ নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সেই উদ্যোগে ট্রাম্প দুইবার কিমের সঙ্গে সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামে বৈঠক করেন। তবে শান্তি আলোচনা আর খুব বেশি এগোয়নি।

চলতি বছর জো বাইডেন ক্ষমতা নেয়ার পর বিশ্ব শান্তির জন্য উত্তর কোরিয়াকে গুরুতর হুমকি বলে বিবৃতি দেন। এমনকি ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই প্রতিক্রিয়া হিসেবে কিম সামরিক বাহিনীর বিশাল আকারে প্যারেড করে।

বাইডেন প্রশাসন বলছে, কোরীয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর