১৩ বছরে সবেচেয়ে বেশি। একলাফে ২৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি। রিপোর্ট বলছে, ২০১৯ সালের শেষে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের ৬ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা জমা ছিল। সেখানে ২০২০ সালের শেষে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৭০০ কোটি টাকায়।
এই অঙ্ক ১৩ বছরে সবচেয়ে বেশি। সুইস সেন্ট্রাল ব্যাংকের এই বার্ষিক প্রতিবেদনের পর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, একাধিক সংবাদ মাধ্যমে যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। কারণ সুইস ব্যাংকের যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, সেখান থেকে বলা যায় না ভারতীয়দের কালো টাকা রফতানির পরিমাণ বেড়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের দাবি, যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে সুইসের ব্যাংকের একাধিক ভারতীয় শাখার অর্থ জমা রয়েছে। তাই কালো টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এ কথা বলা যাবে না।
সুইস ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমানতের যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে, তাতে একটা কিন্তু আছে।
‘গ্রাহক অ্যাকাউন্টে আমানত’ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ ফান্ডগুলি প্রকৃতপক্ষে ২০১৯ সালে ৫৫০ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাঙ্ক (৪,৪৪২ কোটি রুপিরও বেশি) থেকে কমে ২০২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৫০৩.৯ মিলিয়ন ফ্র্যাঙ্ক (চার হাজার কোটি টাকার সামান্য বেশি)।
ট্রাস্ট রক্ষক ও ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থও আলোচ্য সময়ে ৭.৪ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাঙ্ক (৫৯.৭৬ কোটি টাকা) থেকে কমে ২ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাঙ্ক (১৬.৫ কোটি) হয়েছে।
যদিও গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা অর্থ কমলেও বন্ড, সিকিউরিটিজ ও অন্যভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ বিপুলভাবে বেড়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে অঙ্কের টাকা বৃদ্ধির কথা বলা হয় তা সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিসংখ্যান। কিন্তু আদৌ তা হিসেব বহির্ভূত টাকা কী না, কিংবা কত টাকা রয়েছে, সেই তথ্য রিপোর্টে উল্লেখ নেই।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে অন্যতম ইস্যু ছিল কালো টাকা। নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরাবেন তিনি। সেই টাকা দিয়ে ভারতের নাগরিকদের ১৫ লাখ টাকা দেয়া যাবেও বলে জানিয়েছিলেন মোদি।
কিন্তু তারই ক্ষমতাসীন অবস্থায় সুইস ব্যাংকে টাকা বৃদ্ধির তথ্যে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের দাবি, সুইস ব্যাঙ্কে কী পরিমাণ কালো টাকা রয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক কেন্দ্রীয় সরকার।