বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধান বিচারপতি থেকে ইরানের প্রেসিডেন্ট

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২১ ১৭:৫৩

প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, ১ কোটি ৭৮ লাখ ভোট পেয়েছেন রাইসি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাই পেয়েছেন ৩৩ লাখ ভোট। সেই হিসাবে রেজাইয়ের চেয়ে রাইসি ১ কোটি ৪৫ লাখ বেশি ভোটে এগিয়ে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন দেশটির কট্টর রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতা ও প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি। তার কাছে পাত্তাই পায়নি তিন প্রতিপক্ষ।

শনিবার দ্য গার্ডিয়ানআরব নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি, মোহসেন রেজাই, আমির হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি ও আব্দলনাসের হেম্মাতি।

মতামত জরিপে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন ইরানের শিয়া সম্প্রদায়ের নেতা রাইসি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং তিন প্রার্থী রেজাই, হাশেমি ও হেম্মাতি এরই মধ্যে রাইসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, ১ কোটি ৭৮ লাখ ভোট পেয়েছেন রাইসি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাই পেয়েছেন ৩৩ লাখ ভোট। সেই হিসাবে রেজাইয়ের চেয়ে রাইসি ১ কোটি ৪৫ লাখ বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।

ইরানের কর্মকর্তারা জানান, ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬ কোটি ভোটারের মধ্যে ২ কোটি ৮৬ লাখ মানুষ ভোট দেন। ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪ কোটি ১ লাখের বেশি মানুষ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল শনিবার রাতের দিকে ঘোষণা করা হবে। তবে তার আগেই রাইসির জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলে এটি স্পষ্ট, ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন রাইসি।

ইরানে চার বছরের মেয়াদে টানা দুবার ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রুহানির স্থলাভিষিক্ত হবেন রাইসি। আগস্টে রাইসির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন রুহানি।

টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে কোনো নাম উল্লেখ না করে রুহানি বলেন, ‘জনগণের পছন্দকে আমি অভিনন্দন জানাই। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এটি এলেই বিজয়ীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানাব। নির্বাচনে কার জয় হয়েছে, তা এখন পরিষ্কার।’

রক্ষণশীল প্রার্থী মোহসেন রেজাই ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান মধ্যপন্থি আব্দলনাসের হেম্মাতি রাইসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রেজাইয়ের পরের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্কারপন্থি হেম্মাতি পেয়েছেন ২৪ লাখ ভোট।

হেম্মাতি তার ইনস্টাগ্রাম পেজে রাইসির উদ্দেশে বলেন, ‘আশা করি, আপনার প্রশাসন ইরানের অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটাবে। আপনার নেতৃত্বে জনগণের সমৃদ্ধি ও উন্নত জীবিকার ব্যবস্থা হবে।’

২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১ কোটি ৫৮ লাখ ভোট পেয়ে রুহানির কাছে পরাজয় হয়েছিল রাইসির।

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে প্রায় ৪০ নারীসহ ৬০০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

তাদের মধ্যে কেবল সাতজনকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি দেয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টের অভিভাবক পরিষদ (গার্ডিয়ান কাউন্সিল)।

এতে অনেক ভোটার হতাশ হন। গার্ডিয়ান কাউন্সিলের তালিকায় ছিলেন না ইরানের একসময়ের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

গার্ডিয়ান কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের কারণে ইরানের ভিন্নমতাবলম্বী ও সংস্থারপন্থি শিবিরের অনেকে নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন। তাদের ভাষ্য, গার্ডিয়ান কাউন্সিল বেশ কয়েকজন যোগ্য প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনি লড়াইয়ে রাইসির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।নির্বাচনের দুই দিন আগে বুধবার সাত প্রার্থীর মধ্যে তিনজন রাইসির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজেদের নির্বাচনি লড়াই থেকে সরিয়ে নেন। তারা হলেন সংস্কারপন্থি মোহসেন মেহরালিজাদেহ, চরমপন্থি আলিরেজা জাকানি ও রক্ষণশীল সাঈদ জালিলি।

এ বিভাগের আরো খবর