কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার ও ভারত সরকারের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। কেন প্রধান অভিযোগ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হল না, সেটি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে।
শুক্রবার দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সামনে হাজিরা দিলেন টুইটার ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসি ম্যানেজার শাগুফতা কামরান এবং আইনজীবি অতসুশি কাপুর।
কংগ্রেসে সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটিতে তাদের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জানা গেছে, এদিন ওই কমিটি সংস্থার কর্মকর্তাদের সাফ জানিয়েছে, ‘ভারতের আইনই শেষ কথা আর সংস্থা সেটি মানতে বাধ্য।’
দল নির্বিশেষে সাংসদরা রয়েছেন ওই কমিটিতে। এদিন প্রায় ৯৫ মিনিট ধরে জবাবদিহি করতে হয়েছে টুইটার কর্মকর্তাদের। একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুড়ে দেওয়া হয় তাদের দিকে। এখনও কেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্থায়ী অফিসার নিয়োগ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিতর্কিত কনটেন্ট নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তাদের। কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যেসব টুইটকে তারা পরিচ্ছন্ন বলে মনে করেন সেগুলিকেই প্রোমোট করেন বা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেন, আর যে সব টুইটে সমস্যা থাকে, সেগুলোকে আটকে দেন।
জানা গেছে, কেবল টুইটারই নয়, ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকেও সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার সম্পর্কে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
সেখানে টুইটারের প্রতিনিধিদের মতামত জানতে চাওয়া হয় এবং নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা ও সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার হচ্ছে কিনা, সেটি নিয়ে প্রমাণও সামনে আনতে বলা হয়। এই সামাজিক মাধ্যমগুলিতে মেয়েরা কতটা সুরক্ষিত সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়।
চলতি সপ্তাহেই ভারত সরকারের নয়া তথ্য-প্রযুক্তি আইন অনুসরণ না করায় আইনি সুরক্ষা হারিয়েছে টুইটার। গাজিয়াবাদে এক বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনাতেও ভাইরাল ভিডিওটিকে বিকৃত হিসাবে চিহ্নিত না করায় উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে টুইটারের ভারতীয় কর্মকর্তা মনীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া কংগ্রেসের টুলকিট কাণ্ড নিয়ে লাগাতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে টুইটারকে। সূত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সংসদীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগলের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকেও ডেকে পাঠানো হবে সরকারের আইন অনুযায়ী তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা সেটি জানতে।