বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে চাকরি হারাবেন ৩০ লাখ আইটি কর্মী

  •    
  • ১৭ জুন, ২০২১ ২২:১৯

এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, অটোমেশনের কারণে কম দক্ষতা লাগে এমন পরিষেবায় নিযুক্ত ৩০ লাখ কর্মী ছাঁটাই হতে চলেছে। শুধু রোবট প্রসেস অটোমেশনের জন্যই চাকরি হারাতে পারেন ৭ লাখ জন। বাকিরা তথ্যপ্রযুক্তির সংস্থার অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি কারণে চাকরি হারাতে পারেন।

অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান, ভারতে কোনো ক্ষেত্রেই আশাব্যঞ্জক কিছু শোনাতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের জুন মাসের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ২ লাখ কোটি টাকা ক্ষতি হবে দেশের অর্থনীতির।

তথ্যপ্রযুক্তি এবং আউটসোর্সিং ক্ষেত্রের বাণিজ্যিক সংগঠন ‘ন্যাসকম’ বলছে, ২০২২ সালের মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলোতে কাজ হারাতে পারেন ৩০ লাখ কর্মী।

তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে অর্থনীতির ক্ষতি হলেও চাকরি হারানোর পেছনে কাজ করছে প্রযুক্তির অত্যাধুনিকীকরণ। তবে শুধু ভারতেই নয়, ব্যাংক অফ আমেরিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ হারাবেন তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের ১০ লাখ কর্মী।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে ভারতের অর্থনীতিকে। দ্বিতীয় ঢেউ মূলত প্রভাব ফেলেছে গার্হস্থ্য চাহিদার ওপরেই। আর সে কারণে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছে রিজার্ভ ব্যাংক।

তবে এর সঙ্গে দেশের মোট জিডিপির সরাসরি কোনো যোগ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকে সঞ্চিত মানুষের আমানত ক্রমে কমছে। এই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে, মানুষের হাতে নগদ টাকা কমেছে, যার প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন গার্হস্থ্য চাহিদার ওপরে।

একইভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া তাদের মাসিক বুলেটিন প্রকাশ করেছে। সেই বুলেটিনে ভারতের অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা, আর্থিক কাঠামো এবং দেশের সার্বিক উৎপাদনের রেখাচিত্র তিনটি আলাদা অধ্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানেও অর্থনীতির ক্ষতির কথা বলা হয়েছে। তাদের মতে, যত দ্রুত বেশিসংখ্যক টিকাকরণ হবে, তত দ্রুত এই সমস্যার থেকে বেরিয়ে আসবে ভারত।

অন্যদিকে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি এবং আউটসোর্সিং খাতের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর যৌথ মঞ্চ ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিস কোম্পানিজ বা ন্যাসকম জানিয়েছে, এখন ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোয় মোট কর্মিসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ। মোট কর্মীর মধ্যে ৯০ লাখ বিপিও বা কম দক্ষতা লাগে এমন পরিষেবায় নিযুক্ত। তাদের মধ্যে ৩০ লাখ কর্মীই ২০২২ সালের মধ্যে কাজ হারাতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে কারণ করোনা নয়, বরং প্রযুক্তির উন্নয়ন। অত্যাধুনিক রোবট প্রসেস অটোমেশন (‌আরপিএ)‌ ব্যবহার করছে সংস্থাগুলো। এই আরপিএ আসলে রোবট নয়। একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, যা ব্যাপক মাত্রায় রুটিন কাজ করতে পারে। টানা ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতে পারে। ফলে এতসংখ্যক কর্মী রাখার আর প্রয়োজন পড়বে না আইটি সংস্থাগুলোর।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই আরপিএ-এর কারণে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস (টিসিএস), ইনফোসিস, উইপ্রো, এইচসিএল, টেক মাহিন্দ্রা, কগনিজেন্টসহ অন্যান্য সংস্থায় কম দক্ষতা লাগে এমন পরিষেবায় নিযুক্ত ৩০ লাখ কর্মী ছাঁটাই হতে চলেছে।

রোবট প্রসেস অটোমেশনের জন্যই চাকরি হারাতে পারেন ৭ লাখ জন। বাকিরা তথ্যপ্রযুক্তির সংস্থার অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি কারণে চাকরি হারাতে পারেন। এই কর্মচ্যুতির ফলে সংস্থাগুলো কর্মীদের বেতন বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করবে।

এ বিভাগের আরো খবর