দিল্লি লাগোয়া উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে এক মুসলমান নিগ্রহের ঘটনায় ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগে বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার দিল্লির তিলক মার্গ থানায় অমিত আচার্য নামের এক আইনজীবী স্বরা ভাস্করসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন, যাতে স্পষ্ট এফআইআরের আবেদন জানানো হয়েছে।
দাঙ্গায় উসকানি দেয়া ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার অভিযোগে বলিউড অভিনেত্রীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ১৫৩এ, ২৫৯এ, ৫০৫ ও ১২০বি ধারার ভিত্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বরা ভাস্কর, টুইটারের ভারতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনীশ মাহেশ্বরী, সাংবাদিক আফরা খানুম শেরওয়ানিসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ পেয়েছে।
সংশ্লিষ্ট অভিযোগনামায় বলা হয়, তারা প্রত্যেকেই গাজিয়াবাদের প্রবীণ নাগরিকের বিরুদ্ধে ভুয়া খবর শেয়ার করে সেটাকে সাম্প্রদায়িকতার রং দেয়ার চেষ্টা করেন।
গাজিয়াবাদের মুসলমান বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবদুল সামাদ সাইফি নামের ওই বৃদ্ধকে অটোরিকশায় করে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার নামে নির্জন এলাকায় নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এরপর সেখানে তাকে মারধর করা হয় এবং জয় শ্রীরাম বলার জন্য চাপ দেয়া হয়।
তবে পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা ওই বৃদ্ধকে মারধর করেন, কারণ তার থেকে কেনা তাবিজে কোনো কাজ হয়নি বলে। আর সেই ঘটনাকেই সাম্প্রদায়িকতার রং দেয়ার চেষ্টা করেন স্বরা, এমনটাই অভিযোগ উত্তর প্রদেশ পুলিশের।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতি অনুসরণ না করায় টুইটারের আইনি সুরক্ষা তুলে নেয়া হয়।
পরে দিল্লি পুলিশের কাছেও টুইটের মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ জানান এক আইনজীবী। তিনি অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর, সাংবাদিক আফরা খানুম, আসিফ খান ও টুইটার অধিকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
তার অভিযোগ, গোটা ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে তারা নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন।
অবশ্য এর পরিপ্রেক্ষিতে এখনও কোনো এফআইআর করা হয়নি বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
অন্যদিকে ভারতে টুইটার অধিকর্তা হিসেবে মনীশ মাহেশ্বরীও গোটা বিষয় সম্পর্কে কোনো পদক্ষেপ নেননি এবং ভুয়া টুইটগুলোও সরিয়ে ফেলেননি।
এর আগে উত্তর প্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকেও একই অভিযোগ আনা হয় টুইটারের বিরুদ্ধে।