পশ্চিমবঙ্গের ভোট-পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে অতি সক্রিয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দিল্লি সফরকে কটাক্ষ করে বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাকে সরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দু-তিনবার চিঠি লিখেছি। বাচ্চা ছেলে তো নয়, যে বকাঝকা করে চুপ করিয়ে দেব।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘রাজ্যপাল যখন করা হয়েছিল, তখন আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়নি। নিয়ম হচ্ছে, রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করে রাজ্যপাল পাঠানো। উনি কাদের সঙ্গে দেখা করবেন, তার ব্যাপার। উনি তো বিজেপির লোক।’
বিধানসভা নির্বাচনের এক মাস পরও রাজ্যের ভোট-পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের সংঘাত সমানে চলছে।
বিরামহীন টুইটযুদ্ধে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারবার সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
এর ফলে রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের দিল্লি গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে নোট দেয়া খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।ভোট-পরবর্তী সহিংসতায় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে সোচ্চার বিজেপির দুই রাজ্য নেতা।
সোমবার বিজেপির ৫০ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তারপর দিল্লি যান তিনি।
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘বাংলায় কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা হচ্ছে না। বিজেপির গিমিক ভায়োলেন্স চলছে। বঙ্গভঙ্গ হতে দেব না। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মানে কী?
‘জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির জমি বিক্রি করে দেব নাকি? আমাদের এখানে কোনো গণ্ডগোল নেই । দিল্লি পুলিশের থেকে আমাদের পুলিশ ভালো কাজ করছে।’