মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে একটি গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জান্তা সরকারবিরোধীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, নিরাপত্তা বাহিনীর দেয়া আগুনে নিজেদের ঘরে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই দুই বৃদ্ধের।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১০টায় ভয়াবহ আগুনে গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধ্বংসস্তূপের মাঝে অক্ষত আছে কেবল ৩০টির মতো বাড়ি।
ম্যাগওয়ে অঞ্চলে ৮০০ মানুষের কিন মা গ্রামে আগুনের শিখা এত বিশাল ও ভয়াবহ ছিল যে, তা নাসার স্যাটেলাইটে থাকা ফায়ার-ট্র্যাকিং সিস্টেমেও ধরা পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, সরকারবিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে গ্রামটিতে আগুন ধরিয়ে দেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ওই সময় অনেকে পালিয়ে বাঁচলেও ঘরের মধ্যে পুড়ে মৃত্যু হয় দুই বৃদ্ধের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষ শেষে বুধবার অনেক গ্রামবাসী তাদের বাড়িঘরে ফিরে আসে। ওই দুই বৃদ্ধের মৃতদেহ ভস্ম হয়ে যাওয়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
মৃতদেহ উদ্ধারকারীদের একজন ৩২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, ‘হঠাৎ দেয়া আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠা বাড়িঘর থেকে তারা বের হয়ে আসতে পারেননি। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ পাশের বনে আশ্রয় নেন।’
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভির প্রতিবেদন বলা হয়, কিন মা গ্রামে মঙ্গলবার রাতে আগুনের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু সংবাদমাধ্যম ও ব্যক্তি সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে অপবাদ ছড়াচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কমপক্ষে ৪০ সন্ত্রাসী কিন মা গ্রামে একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে সেই আগুনে গ্রামের ২২৫টি বাড়িঘরের অন্তত ১০০টি জ্বলে ছারখার হয়ে যায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আগুনের কারণ স্পষ্ট করে বলা হয়নি।