ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের তোলা রাজ্যের ভোট-পরবর্তী সহিংসতার অভিযোগের সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে রাজ্য সরকার।
বুধবার পরপর পাঁচটি টুইটে রাজ্যপালের অভিযোগ খণ্ডন করে এ দাবি করা হয়। এর আগে একাধিক টুইটে ভোট-পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট-পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকার জন্য চিঠি লিখে পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির নিয়োগ করা রাজ্যপাল ওই চিঠিতে লেখেন, ‘ভোটের পর বহু মানুষ সহিংসতার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বিরোধীদের প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা অব্যাহত। চলছে নারী নির্যাতনও। এই পরিস্থিতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও আপনি নীরব থেকেছেন। এমনকি মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এ নিয়ে কোনো আলোচনা করেননি।’
ধনকড় আরও লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই এ বিষয়ে সহমত হবেন, রাজ্যে এই সন্ত্রাসের পরিবেশ গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। গণতান্ত্রিক প্রথা মেনে ভোট দেয়ার পরেও এটা হতে দেয়া যায় কীভাবে?’
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ছবি সংগৃহীত
পরে একাধিক টুইট করে সেই চিঠির বিষয়বস্তু প্রকাশ করে দেয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠি ও তার বিষয়বস্তু আচমকা টুইট করে প্রকাশ্যে আনায় হতবাক রাজ্য সরকার।
রাজ্যপালের টুইটের জবাবে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর টুইটে জানিয়েছে, ‘যোগাযোগের প্রথাগত ধারা লঙ্ঘন করেছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা একই চিঠি টুইটারে প্রকাশ করা হয়েছে। যা এ ধরনের যোগাযোগ নীতির পরিপন্থী।’
ভোট-পরবর্তী সহিংসতার অভিযোগের জবাবে লেখা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকার সময়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নতুন সরকার শপথ নেয়ার পর স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে।’
সরকারের তরফে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের টুইটে দাবি করা হয়েছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-পরবর্তী সময়ও দুই পক্ষের মধ্যে টুইট পাল্টা-টুইট করে পরস্পরকে দোষারোপ করতে দেখা যায়। একই পরিস্থিতি ছিল রাজের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়েও।