আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে চীনের কারণে সৃষ্ট সামরিক হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিশ্বনেতারা। জবাবে ‘সবকিছু অতিরঞ্জিত দৃষ্টিতে দেখে তিক্ততা উসকে দেয়ার’ অভিযোগ করেছে বেইজিং।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির পরিধি বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা।
ব্রাসেলসে মঙ্গলবারের বৈঠকে তারা বলেন, চীনের আচরণ ‘পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জ’ ছুঁড়ে দিয়েছে। নিজেদের সামরিক আধুনিকায়ন নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছে না দেশটি। তারা রাশিয়াকে সামরিকভাবে সহযোগিতা করছে।
ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, সামরিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে ন্যাটোর অবস্থানের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে চীন।
তবে চীনের সঙ্গে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধ জোট চায় না বলেও জোর দেন তিনি।
যৌথভাবে দেয়া বিবৃতিতে ন্যাটো নেতারা বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, মহাকাশে প্রভাব বিস্তার ও সাইবারযুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন। এটি বিশ্বে শান্তি রক্ষার পরিপন্থি।
ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের চীনা মিশন থেকে দেয়া বিবৃতিতে চীনের উন্নয়ন স্বাভাবিকভাবে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তথ্য অতিরঞ্জিত করে চীনের হুমকির কথা বলে একের পর এক ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চীনের বৈধ স্বার্থ ও অধিকারকে আঞ্চলিক রাজনীতির কূটচালে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কেবল বৈরিতা বাড়াবে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ন্যাটোর অভিযোগ চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে অবমাননার শামিল। এটি স্নায়ুযুদ্ধ অব্যাহত রাখবে।’
এর আগে যুক্তরাজ্যে চীনের দূতাবাস থেকে জি সেভেন জোটভুক্ত দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক কূটচালে’র অভিযোগ তোলা হয়।
ইংল্যান্ডে জি সেভেনের শীর্ষ সম্মেলনে শিনজিয়াং ও হংকংয়ে চীনা সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জবাবে ক্ষোভ জানায় বেইজিং।
ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ৩০টি দেশ নিয়ে গঠিত প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও সামরিক জোট ন্যাটো। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর বিপরীতে এ জোটটি গঠন হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর।