বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সু চি সমর্থকরা এখন রোহিঙ্গাদের পক্ষে

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২১ ১৯:৫৯

ইউরোপভিত্তিক আলোচিত রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী রো নায় সান লুইন জানান, অনলাইনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এক বছরের মতো সময় লাগে। রোববারই প্রথম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোহিঙ্গাদের পক্ষে পোস্ট এত ভাইরাল হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে কালো কাপড় পরে মিয়ানমারের জাতিগত নিপীড়িত সংখ্যালঘু মুসলমান রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানিয়েছে দেশটির সামরিক জান্তাবিরোধী কয়েক লাখ আন্দোলনকারী।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার কালো কাপড় পরে প্রতিরোধের প্রতীক তিন আঙুল দেখিয়ে হ্যাশট্যাগ ব্ল্যাকফররোহিঙ্গা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবি পোস্ট করেন মিয়ানমারের অধিকারকর্মী ও বেসামরিক নাগরিকরা।

মিয়ানমারের আলোচিত মানবাধিকারকর্মী থিনজার শুনলেই টুইটবার্তায় রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের প্রত্যেকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের প্রত্যেক নাগরিক ন্যায়বিচার পাবেন।’

মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার দেশটির বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনে কালো কাপড় পরে কয়েকজন মিয়ানমারবাসী প্ল্যাকার্ডে ‘নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিবাদ’ লিখে বিক্ষোভ করেন।

রোববার দুপুরের মধ্যে টুইটারে ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ হ্যাশট্যাগ ব্ল্যাকফররোহিঙ্গা (#Black4Rohingya) ব্যবহার করেছেন।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে নারকীয় অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ধর্ষণ, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের হাত থেকে বাঁচতে সে সময় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সব মিলিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি।

সশস্ত্র বিদ্রোহীদের নির্মূলে ওই অভিযান দরকার ছিল বলে দীর্ঘদিন ধরে এর পক্ষে সাফাই গেয়ে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে করা অভিযোগে সেনাবাহিনীর পক্ষ নেন দেশটির তৎকালীন সরকারপ্রধান অং সান সু চিও।

মিয়ানমারের অনেক নাগরিক মনে করেন, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এরই জেরে মিয়ানমারের নাগরিকত্বসহ মৌলিক অধিকার থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত এই সম্প্রদায়ের মানুষ।

রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে মিয়ানমারের জনগণের একটি বড় অংশ সহানুভূতিহীন ছিলেন। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের পক্ষ নেয়ায় অনেক সময় দেশটির অধিকারকর্মী ও সাংবাদিকেরা অনলাইনে তোপের মুখে পড়েন।

ইউরোপভিত্তিক আলোচিত রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী রো নায় সান লুইন জানান, অনলাইনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এক বছরের মতো সময় লাগে। রোববারই প্রথম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোহিঙ্গাদের পক্ষে পোস্ট এত ভাইরাল হয়।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের পক্ষে প্রচারে মিয়ানমারের জনগণকে নামতে দেখে আমি খুবই খুশি। ভবিষ্যতে তারা রোহিঙ্গাদের প্রতি আরও সংহতি জানাবেন বলে আমি আশাবাদী।’

সম্প্রতি মিয়ানমারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার ঘোষণা দেয় দেশটির ছায়া সরকার।

১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত নেতা সু চিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এর পরই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশটিতে সামরিক জান্তাবিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। পাশাপাশি দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়েও সোচ্চার হয় মিয়ানমারের অনেক নাগরিক।

এ বিভাগের আরো খবর