ট্রাকচাপায় কানাডার এক মুসলমান পরিবারের চার সদস্য হত্যার ঘটনায় বিদ্বেসপ্রসূত বক্তব্য ও ইসলামবিদ্বেষ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিসির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিনিধি রোসমেরি বারটনকে শনিবার দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান বলে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, ‘কানাডার ঘটনায় পাকিস্তানের সবাই মর্মাহত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে আমরা নিহতদের পারিবারিক ছবি দেখেছি। পরিবারটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোয় পাকিস্তানিদের মনে গভীর প্রভাব পড়েছে।’
ইমরান বলেন, সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে মুসলমানদের ওপর হামলার ধরন অনলাইনে উগ্রবাদের দিকে নজর দেয়ার দাবি জানাচ্ছে।
অনলাইনে উগ্রবাদ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, জানতে চাইলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। অনলাইনে বেশ কিছু বিদ্বেষমূলক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলো মানুষের ভেতর ঘৃণার জন্ম দিচ্ছে। এসব বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের এগিয়ে আসা জরুরি।’
কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে রোববার সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পরিবারের ওপর ট্রাক উঠিয়ে দেয়া হয়। ওই ঘটনায় পরিবারটির চার সদস্য নিহত হয়। গুরুতর আহত হয় পরিবারের নয় বছরের এক ছেলে।
কানাডা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, পরিবারটি মুসলমান হওয়ায় তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ২০০৭ সালে ওই পরিবার পাকিস্তান থেকে কানাডায় পাড়ি দেয়।
ভয়াবহ ওই ঘটনার পর টুইটবার্তায় দুঃখ প্রকাশ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি বলেন, ‘অন্টারিওতে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুসলমান পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে জেনে বিমর্ষ বোধ করছি। এমন ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এটাই জানান দিচ্ছে, পশ্চিমা দেশে ইসলামবিদ্বেষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
সিবিসিকে ইমরান জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে এ নিয়ে তার কথা হয়েছে। অনলাইনে ঘৃণা ও ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব বোঝেন ট্রুডো। বিশ্বের অন্য নেতাদের প্রতি ইসলামবিদ্বেষ বন্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে বিশ্বনেতারা যে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন, তা যেন বাস্তবায়ন করা হয়।’