বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালদায় ‘চর সন্দেহে’ চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার

  •    
  • ১১ জুন, ২০২১ ১৫:২৯

চীনা নাগরিক হানের পাসপোর্ট পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা জেনেছে, তিনি চলতি বছর ২ জুন বাংলাদেশে যান। সেখানে একজন চীনা বন্ধুর কাছে ছিলেন। ৮ জুন নবাবগঞ্জের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করেন। মালদা এলাকায় তিনি ধরা পড়ে যান।

বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মালদার কালিয়াচক এলাকা থেকে একজন চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।হান জুম উই নামের চীনা নাগরিক বিদেশি সংস্থার চর হিসেবে কাজ করেন বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের।

সন্দেহভাজন চীনা নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখার একটি দল কালিয়াচকে পৌঁছে। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) একটি প্রতিনিধিদল সেখানে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, মালদার কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে এক চীনা নাগরিককে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন বাসিন্দারা।গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তারা বিএসএফকে খবর দেন। বিএসএফের সদস্যরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে হান জুম উই নামের চীনা নাগরিককে আটক করে।

চীনা নাগরিককে তল্লাশি করে পাওয়া গেছে ১টি অ্যাপল ল্যাপটপ, ২টি আইফোন মোবাইল, ১টি বাংলাদেশি সিম, ২টি চাইনিজ সিম, ২টি পেনড্রাইভ, ৩টি ব্যাটারি, ২টি ছোট টর্চ, ৫টি টাকা লেনদেনের মেশিন, ২টি এটিএম মাস্টার কার্ড, ইউএস ডলার, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় মুদ্রা।

হানের পাসপোর্ট পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা জেনেছে, তিনি চলতি বছর ২ জুন বাংলাদেশে যান। সেখানে একজন চীনা বন্ধুর কাছে ছিলেন। ৮ জুন নবাবগঞ্জের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। মালদা এলাকায় তিনি ধরা পড়ে যান।

চীনা নাগরিক হান একজন অপরাধী বলেই মনে করছে বিএসএফ। তিনি একাধিকবার ভারতে এসেছেন। ২০১০ সালে হায়দরাবাদ সফর করেছেন। ২০১৯ সালে তিনি দিল্লির গুরগ্রামে তিনবার গিয়েছেন। সেখানে তার কয়েকজন বন্ধু রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে হান জানান, বন্ধু ও বিজনেস পার্টনার সান জিয়াংকে লখনৌ এটিএস একবার গ্রেপ্তার করেছিল। তখন গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। সান জিয়াং ভারত থেকে প্রচুর সিমকার্ড পাঠিয়েছিলেন তার জন্য।

গোয়েন্দারা মনে করছেন, চীনা নাগরিক হান সাইবার ক্রাইমে যুক্ত থাকার পাশপাশি বিদেশি সংস্থার হয়ে কাজ করেন। তার ভারতে অনুপ্রবেশের কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

এ বিভাগের আরো খবর