বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পশ্চিম আফ্রিকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ইতি টানল ফ্রান্স

  •    
  • ১১ জুন, ২০২১ ০৯:২৬

বর্তমানে পশ্চিম আফ্রিকার পাঁচ দেশ- বুরকিনা ফাসো, শাদ, মালি, মৌরিতানিয়া ও নাইজারে মোতায়েন রয়েছে ৫ হাজার ১০০ ফরাসি সেনা। শাদের রাজধানী এনজামেনা থেকে এই সেনা অভিযান পরিচালনা করছে প্যারিস।

মালিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিয়োজিত ফরাসি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। এর মাধ্যমে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ইতি ঘটছে ফ্রান্সের ‘অপারেশন বারখান’-এর।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। জানান, আন্তর্জাতিকভাবে আরও বড় পরিসরে শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্ত হবে সেনাবাহিনী।

তিনি বলেন, ‘আরও সংগঠিতভাবে আন্তর্জাতিক ময়দানে ফিরবে আমাদের সেনারা। এ লক্ষ্যে আফ্রিকা ও ইউরোপে আমাদের মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা হবে। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েকশ’ সেনাকে নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাবো আমরা। একইসঙ্গে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবে আরেকটি দল।’

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ পুরো বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

মাখোঁ বলেন, সাহেল অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে আর কাজ করবে না ফ্রান্স। উগ্রবাদীদের সঙ্গে দেশগুলোর সরকার অব্যাহত যোগাযোগ রেখে চলেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বর্তমানে পশ্চিম আফ্রিকার পাঁচ দেশ- বুরকিনা ফাসো, শাদ, মালি, মৌরিতানিয়া ও নাইজারে মোতায়েন রয়েছে ৫ হাজার ১০০ ফরাসি সেনা।

শাদের রাজধানী এনজামেনা থেকে এই সেনা অভিযান পরিচালনা করছে প্যারিস।

শুষ্ক আবহাওয়ার সাহেলের বিস্তীর্ণ এলাকায় গত কয়েক বছরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে উগ্রবাদীরা। এ অবস্থায় নিরাপত্তা ফেরাতে অঞ্চলটিতে সেনা পাঠায় সাবেক উপনিবেশ স্থাপনকারী রাষ্ট্র ফ্রান্স।

সংঘাতপ্রবণ সাহেলের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠীর পাশাপাশি আইএস, আল-কায়েদার মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেও লড়াই করছে ফ্রান্সের সেনারা।

এ অবস্থায় নিরাপত্তা অভিযানে ফ্রান্সকে সহযোগিতার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে গত কয়েক বছর ধরে চাপ দিয়ে আসছে মাখোঁ সরকার।

২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া সেনা অভিযানে ইতি টানতে ফ্রান্সের ভেতরেই চাপের মুখে প্রেসিডেন্ট মাখোঁ। আর সাহেল অঞ্চলে সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক হিসেবে ফ্রান্সের সেনাদের উপস্থিতি চান না খোদ আফ্রিকার অনেক মানুষ ও রাজনীতিকরা।

মাখোঁর এ ঘোষণার পর শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া জি-সেভেন জোটের শীর্ষ সম্মেলনের অন্যতম আলোচ্য সাহেল অঞ্চলের নিরাপত্তা ইস্যু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নেবেন বিশ্বের শীর্ষ সাত অর্থনীতির দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান।

রোববার জে-সেভেন সম্মেলন শেষে সোমবার নেতারা ব্রাসেলসে যোগ দেবেন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে।

পশ্চিমা বিশ্বের রাজনীতিতে এবং বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে সারা বিশ্বের নিরাপত্তার প্রশ্নে সাহেল অঞ্চল অন্যতম বড় ঝুঁকির জায়গা। কারণ অঞ্চলটিতে উগ্রবাদীদের তৎপরতা দিন দিন বাড়ছে এবং অস্ত্র ও মানুষ পাচারের পথ হয়ে উঠেছে অঞ্চলটি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাহেল থেকে ফরাসি সেনাদের প্রত্যাহারের ইচ্ছা জানিয়েছিলেন মাখোঁ। একইসঙ্গে এ পদক্ষেপের ফলে অঞ্চলটিতে সম্ভাব্য অস্থিরতার বিষয়ে সতর্কও করেছিলেন তিনি।

অঞ্চলটির নিরাপত্তায় আরও বড় আঘাতের শংকায় সে সময় ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে বুরকিনা ফাসো, শাদ, মালি, মৌরিতানিয়া ও নাইজারের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা মাখোঁর সেনা প্রত্যাহার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।

এরপরই শাদের প্রেসিডেন্ট ও ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইদ্রিস ডেবি ইটনো যুদ্ধক্ষেত্রে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন।

অন্যদিনে মালিতে নয় মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের পর জোরপূর্বক ক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী।

এর প্রতিবাদে মালির সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান স্থগিত এবং সব ধরনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বন্ধ ঘোষণা করে ফ্রান্স।

এ বিভাগের আরো খবর