বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন মামলা

  •    
  • ১০ জুন, ২০২১ ১৪:২১

সবশেষ মামলায় দাতব্য সংগঠন দাও খিন কি ফাউন্ডেশনের নামে জমির অপব্যবহার-সংক্রান্ত অভিযোগ করা হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি সু চি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অর্থ ও স্বর্ণ গ্রহণেরও অভিযোগ করা হয়েছে।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন মামলা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

আগামী সোমবার শুনানির জন্য আদালতে নেয়া হবে তাকে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বুধবার রাজধানী নেপিদোর একটি থানায় এ মামলা করা হয়েছে।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলায় আসামি করা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত সু চি সরকারের অন্য কর্মকর্তাদেরও।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর সু চির বিরুদ্ধে দফায় দফায় বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা হয়েছে।

সবশেষ মামলায় দাতব্য সংগঠন দাও খিন কি ফাউন্ডেশনের নামে জমির অপব্যবহার-সংক্রান্ত অভিযোগ করা হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি সু চি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অর্থ ও স্বর্ণ গ্রহণেরও অভিযোগ করা হয়েছে।

গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার লিখেছে, ‘পদমর্যাদার অপব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে সু চির বিরুদ্ধে। তাই দুর্নীতিবিরোধী আইনের ৫৫ নম্বর ধারায় সু চির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’

এই আইনে করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে সু চির।

এ বিষয়ে তার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে অবৈধভাবে বিদেশ থেকে ওয়াকিটকি রেডিও কেনা থেকে শুরু করে সরকারের গোপন তথ্য প্রকাশসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সু চির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ সু চির সমর্থকদের।

গত বছরের নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সু চির সরকারের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে অভ্যুত্থান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমারের সাবেক নির্বাচন কমিশন ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো।

তখন থেকে শুরু করে চার মাসের গণবিক্ষোভে অচল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির অর্থনীতি।

অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে ৮৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে।

এ ছাড়া সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় গণতন্ত্রপন্থিদের হত্যা, একের পর এক বোমা হামলা আর সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে সহিংসতাও বেড়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর