করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভিরের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনাভাইরাসবিষয়ক নতুন ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকায় বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের ছয় মিনিট হাঁটিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ দেয়া হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়।
এতে বলা হয়, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের সক্ষমতা বাড়াতে তাদের শরীরচর্চার সহ্যক্ষমতা কতটা, তা জানা যাবে সিক্স-মিনিট ওয়াক টেস্টের মাধ্যমে।
মাঝারি উপসর্গের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক অক্সিজেন দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, উপসর্গবিহীন ও মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদের চিকিৎসায় স্টেরয়েড দেয়া ক্ষতিকর। সময় বুঝে সঠিক মাত্রায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কেবল চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে স্টেরয়েড নিতে পারবেন রোগীরা।
মানবদেহে প্রাকৃতিকভাবে যেসব হরমোন নিঃসরণ হয়, সেগুলোর মানবসৃষ্ট সংস্করণ হলো স্টেরয়েড।
করোনাভাইরাসের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা বা ওষুধ এখন পর্যন্ত উদ্ভাবন হয়নি। এতে গুরুতর অসুস্থ হচ্ছে যারা, তাদের ফুসফুসে প্রদাহ কমাতে নানা ধরনের রাসায়নিকের সমন্বয়ে তৈরি স্টেরয়েড ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা।
ভারতে এটির অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগের ফলে বেড়েছে ভয়াবহ মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (কালো ছত্রাক) রোগের সংক্রমণ।
গত মাসেই করোনাভাইরাসের চিকিৎসাবিষয়ক তালিকা থেকে রেমডিসিভির বাদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর আগে ১৭ মে করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার।