ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নিউটাউনে বুধবার দুপুরে অভিজাত শাপুর্জি আবাসনে পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স বা এসটিএফের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, তারা হলেন জয়পাল ভূল্লার ও যশপ্রীত জসিস সিং। তারা পাঞ্জাবের বাসিন্দা ও মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতি।
অভিযান চলাকালে দুষ্কৃতির গুলিতে পুলিশের এক কর্মীও জখম হয়েছেন।
জয়পাল ও যশপ্রীতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা পাঞ্জাবের দুই পুলিশ কর্মীকে খুন করেন। পরে কলকাতায় আত্মগোপনে থাকেন।
রোববার বীরভূমের সিউড়ি থেকে অস্ত্র বোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। বিহার থেকে আসা ওই ট্রাক থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জেরা করে পুলিশ জয়পাল ভুল্লার আত্মগোপনে থাকার কথা জানতে পারে।
তাদের গ্রেপ্তার করতে বুধবার রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স অভিজাত সাপুরজি আবাসনে অভিযান চালায়। এ সময় দুষ্কৃতিরা ওই আবাসনের পাঁচতলা থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে।
এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে দুই দুষ্কৃতি নিহত হন। তা ছাড়া পুলিশের এক কর্মীও আহত হন।
ভেতরে আরও কয়েকজন দুষ্কৃতকারী থাকতে পারেন সন্দেহে গোটা এলাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখে তল্লাশি শুরু করে।
ঘটনাস্থলে যান বিধান নগর পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। ঘটনাস্থলে পৌঁছান সিআইডি অফিসাররা। শহরের প্রবেশপথ ও বেরোনোর পথে কড়া পুলিশি নজরদারি শুরু হয়।
নিহত দুই দুষ্কৃতি জয়পাল ও যশপ্রীত মাদক ও অস্ত্র পাচারের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পাঞ্জাবের একাধিক থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। এরা পাঞ্জাবের মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতি।
সম্প্রতি এদের দুজনের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের দুই পুলিশ কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে।