বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাজ্য থেকে শুরু প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিদেশ সফর

  •    
  • ৯ জুন, ২০২১ ১৩:৫৪

পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভেদ ঘোচানোর চেষ্টা করবেন বাইডেন। একই সঙ্গে স্বৈরতন্ত্র জোরালো হতে থাকা দেশগুলোতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় চাপ দেবেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরের জন্য বুধবার দেশ ছাড়ছেন জো বাইডেন।

আট দিনের সফরে মিত্রদের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাজ্য থেকে শুরু হবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। সফরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন রূপে তিনি তুলে ধরবেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভেদ ঘোচানোর চেষ্টা করবেন বাইডেন। একই সঙ্গে স্বৈরতন্ত্র জোরালো হতে থাকা দেশগুলোতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় চাপ দেবেন তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারি নিরসনের পথে চীনের বিপরীতে শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্মিলিত কৌশল গ্রহণে আলোচনা বাইডেনের অন্যতম লক্ষ্য।

সফর সামনে রেখে ওয়াশিংটন পোস্টের উপসম্পাদকীয় কলামে বাইডেন লিখেন, ‘সারা বিশ্ব এক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। শতাব্দীর ভয়াবহতম মহামারি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

‘এমন সময়ে এই সফরের মাধ্যমে মিত্রদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, সে বিষয়ে নতুন করে আশ্বস্ত করার সময় এসেছে। একই সঙ্গে এসব চ্যালেঞ্জ ও নতুন যুগের হুমকি মোকাবিলায় গণতন্ত্রের শক্তিও দেখাতে হবে আমাদের।’

সফরকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বাইডেন। তিনি অংশ নেবেন শীর্ষ সাত অর্থনীতির দেশের জোট জি-সেভেনের সম্মেলনে। রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের অংশগ্রহণে শুক্রবার শুরু হবে তিন দিনের সম্মেলনটি।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, কার্যকরী পদক্ষেপ বা চুক্তির চেয়ে বার্তা আদান-প্রদানই বেশি থাকবে বাইডেনের সফরে। কারণ সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির দেনা-পাওনামূলক যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে মিত্রদের মধ্যে, তা থেকে সরে আসার বিষয়ে বিশ্বকে আশ্বস্ত করতে চান বাইডেন।

বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান বলেন, ‘আমাদের এই সময়ে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো বিশ্বে গণতন্ত্রের সুরক্ষা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জো বাইডেনের পররাষ্ট্র নীতিমালার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ও পরিবর্তন তুলে ধরা এ সফরের কেন্দ্রীয় লক্ষ্য।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে সফর শেষ করবেন বাইডেন। ইউরোপের পূর্বাঞ্চল এবং ইন্টারনেটভিত্তিক তথ্যযুদ্ধে মস্কোর আগ্রাসন বন্ধে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে থাকার বার্তা দেবেন তিনি।

পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রুশ হ্যাকারদের সাইবার হামলা, কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে চাপ দিতে পারেন বাইডেন।

যুক্তরাজ্যে জি সেভেন শীর্ষ সম্মেলন শেষে বেলজিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সম্মেলনে যোগ দেবেন বাইডেন। এরপর ২৭ সদস্যভুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।

মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা, অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা, মস্কোর সঙ্গে ইউরোপের অর্থনৈতিক লেনদেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর