ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ২১ জুন থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সব নাগরিককে বিনা মূল্যে টিকা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
এর পরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোড়া টুইটে মোদিকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘অতিমারির গোড়াতেই সাধারণ মানুষের কথা ভাবা উচিত ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এত দেরিতে পদক্ষেপ করায় বহু মানুষ প্রাণ হারালেন।’
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দাবি করেন, ‘বাংলার চাপেই শেষ পর্যন্ত ১৮ ঊর্ধ্বদের বিনা মূল্যে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি।’
পরে সন্ধ্যার দিকে পরপর দুটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘গত ২১ ফেব্রুয়ারি এবং তার পরেও একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে, ধারাবাহিকভাবে বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহের দাবি জানিয়েছিলাম। চার মাস কেটে গেলেও অনেক চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত তিনি আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা যা দাবি করেছিলাম তা কার্যকর করেছেন।’
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘১৬ জুন থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকাকরণ মূলত কেন্দ্রের হাতে ছিল। দেশ বিনা মূল্যে টিকাকরণের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু তারপর অনেক রাজ্য টিকাকরণ নিজেদের হাতে চাইছিল।’
‘স্বাস্থ্য যেহেতু রাজ্যের ব্যাপার, তাই ভারত সরকার রাজ্যগুলোর ওপর টিকাকরণের ভার ছেড়ে দিয়েছিল। ভারত সরকার গাইডলাইনও তৈরি করেছিল, যাতে রাজ্যগুলো নিজেদের মতো ব্যবস্থা করতে পারে।’
‘তবে অনেক রাজ্য সরকারের সমস্যা হচ্ছিল। সেই সমস্যা মেটাতে কেন্দ্র আগের মতোই সব নাগরিকের টিকাকরণের দায়িত্ব নিল।’
মোদি জানান, এবার থেকে দেশে উৎপাদিত মোট টিকার ৭৫ শতাংশ কিনবে ভারত সরকার। সেই টিকা বিনা মূল্যে তুলে দেয়া হবে রাজ্য সরকারের হাতে। রাজ্য সরকারকে টিকার জন্য কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। এই প্রক্রিয়া আগামী ২১ জুন যোগ দিবস থেকে শুরু হবে।
এরপরই মমতা টুইটারে লেখেন, ‘আমরা আশা করি, এবার শুধু নিজেদের প্রোপাগান্ডা না করে ভালোভাবে টিকাকরণ অভিযান করবে কেন্দ্র।’