বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চটা করেছি: মোদি

  •    
  • ৭ জুন, ২০২১ ২০:২৯

মোদি জানান, আমরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে কাজ করেছি। স্রেফ ৫-৬ বছরের মধ্যে ভ্যাকসিনেশন কাভারেজ ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করেছি। করোনা পরিস্থিতিতে এখনও অনেকগুলো রাজ্যে লকডাউন চলছে। সংক্রমণ আগের থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও টিকাকরণের হার নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে।

আগে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে টিকার প্রয়োগ শেষ হলে তবেই ভারত টিকা পেত। ২০১৪ সালে জনগণ ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার সময় টিকা প্রয়োগের গড় ৬০ শতাংশের আশপাশে ছিল। যা অত্যন্ত দুচিন্তার কারণ ছিল। যে গতিতে ভারতের টিকা প্রয়োগ কর্মসূচী চলছিল, তাতে দেশের সব জনগণকে টিকা পেতে ৪০ বছর লেগে যেত। আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য ‘মিশন ইন্দ্রধনু’ চালিয়েছি।

সোমবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এভাবেই নিজের সাফল্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এর মাধ্যমে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনেশনের চেষ্টা হয়েছে। আমরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে কাজ করেছি। স্রেফ ৫-৬ বছরের মধ্যে ভ্যাকসিনেশন কাভারেজ ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করেছি।

করোনা পরিস্থিতিতে এখনও অনেকগুলো রাজ্যে লকডাউন চলছে। সংক্রমণ আগের থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও টিকাকরণের হার নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে।

এর মধ্যেই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে আমরা লড়ছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতও এই লড়াই লড়ছে। আমরা স্বজন হারিয়েছি। তাদের প্রত্যেককের প্রতি আমার সমবেদনা। গত ১০০ বছরে সবচেয়ে বড় মহামারি হচ্ছে এই করোনা। আমাদের দেশ একসঙ্গে লড়েছে।’

তিনি বলেন, আমরা শতভাগ টিকাকরণের দিকে এগোচ্ছিলাম, তখনই করোনা আবারও আঘাত হানে। সারা বিশ্বের কাছে প্রশ্ন উঠেছিল, ভারত কী করে এত মানুষকে টিকা প্রয়োগ করবে? সব আশঙ্কা উড়িয়ে বিজেপি সরকার এক বছরের মধ্যে দুটি মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসিন লঞ্চ করে। আমাদের বিজ্ঞানীরা দেখিয়ে দিয়েছে ভারত অন্য দেশের থেকে পিছিয়ে নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে টিকাকরণ করছে ভারত। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে টিকাকরণ এখনও শুরুই হয়নি। ভারতে করোনায় যাদের ঝুঁকি বেশি, তাদের আগে টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে যদি প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের যদি টিকা না দেওয়া হত, তাহলে কী হত, একবার ভেবে দেখুন। বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ করা হয়েছে বলেই তাঁরা নিশ্চিন্তে সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের ইতিহাসে এই পরিমাণ মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা আসেনি। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ হয়েছে।

বায়ুসেনা (বিমানবাহিনী) ও নৌসেনা সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে। অক্সিজেনের উৎপাদন বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রয়োজনীয় যা পাওয়া যায় সব আনা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর