যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রধান চিকিৎসাবিষয়ক উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফাউচি করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে চীনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন কি না, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
ফাউচিকে বিজ্ঞাপনদাতা হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিনভিলে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে এক জনসমাবেশে অংশ নিয়ে শনিবার এসব মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি নিয়ন্ত্রণে নিজেকে সফল দাবি করে ট্রাম্প বলেন, ডা. ফাউচির কারণে দেশটিতে করোনাভাইরাস অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফাউচি সেরা চিকিৎসক নন। তিনি বিজ্ঞাপনদাতা। নিয়মিত টেলিভিশনের সামনে এসে মুখ দেখাতে পছন্দ করেন। অথচ ভাইরাসের উৎস থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। প্রতিটি বিষয়ে ভুল মত দিয়েছেন তিনি।’
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের হয়ে ফাউচি কাজ করেছেন কি না, তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানান ৭৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।
একই সঙ্গে চীনের কাছে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ছয় লাখের বেশি প্রাণহানির জন্য চীনের দায়বদ্ধ থাকা উচিত।’
২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর শনিবার প্রথম কোনো রাজনৈতিক জনসমাবেশে দেখা যায় ট্রাম্পকে।
৯০ মিনিটের ভাষণজুড়ে ছিলেন পুরোনো আগ্রাসী রূপে।
পুরো সময় আক্রমণাত্মক আর বর্ণবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে গেছেন এই নেতা।
বাইডেনের সীমান্ত নীতির সমালোচনা, ডেমোক্র্যাটদের কট্টর বামপন্থি বলা, ‘জাতিবিদ্বেষী’ বক্তব্য আর চীনের নিন্দার বিভিন্ন অংশে উল্লাসে ফেটে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা।