বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবার সেই আগ্রাসী রূপে ট্রাম্প

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ১৪:০৫

৯০ মিনিটের ভাষণজুড়ে আক্রমণাত্মক আর বর্ণবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে গেছেন ট্রাম্প। বাইডেনের সীমান্ত নীতির সমালোচনা, চীনের নিন্দা, ডেমোক্র্যাটদের কট্টর বামপন্থি বলা আর ‘জাতিবিদ্বেষী’ বক্তব্যের বিভিন্ন অংশে উল্লাসে ফেটে পড়েন তার সমর্থকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনে কারচুপির কারণে পরাজয়ের অভিযোগ নিয়ে প্রচারণার মাঠে ফিরতে দেখা যায়নি। নজিরবিহীন সে দৃশ্যই দেখালেন ডনাল্ড ট্রাম্প।

নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিনভিলে স্থানীয় সময় শনিবার আবারও রিপাবলিকান পার্টির নেতা হিসেবে রাজনীতির মঞ্চে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ও ৭৪ বছর বয়সী ধনকুবের ট্রাম্প।

ওই সময় তাকে দেখা যায় অতীতের মতো আগ্রাসী রূপে। এ সমাবেশেও করোনাভাইরাসের জন্য চীনকে দায়ী করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, সে বিষয়টি খোলাসা করেননি ট্রাম্প। তবে পরবর্তী নির্বাচনের বছরটির জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বলে জানান তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সহিংসতা ও বিদ্বেষ উসকে দেয়ার অভিযোগে ফেসবুক-টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ হলেও রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা কমেনি ট্রাম্পের।

ট্রাম্পের সমাবেশের ১ হাজার ২৫০ টিকেটের সবগুলোই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানতাম এমনটাই ঘটবে। কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে এ হল। সব রেকর্ড ভেঙে যাবে।’

অবশ্য আগে অনেকবারই এর চেয়ে বড় সমাবেশে অংশ নিয়েছেন ট্রাম্প। তবে ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিন মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় বলে আগ্রহ বেশি ছিল এ জনসমাবেশ নিয়ে।

নভেম্বেরের নির্বাচনে হারের পর প্রথম গত ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে জনসমাবেশ করেছিলেন ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক মাসের মধ্যেই বড় বড় জনসমাবেশে দেখা যাবে তাকে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করে পূর্বসূরি ট্রাম্প বলেন, ‘নির্বাচনের পর নিজেদের চোখের সামনে দেশকে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখছি আমরা।’

মধ্যবর্তী নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রচারণায় ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই হবে আসন্ন ভোট। প্রতিটি পর্যায়ে রিপাবলিকানদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনলেই কেবল দেশকে রক্ষা করা সম্ভব। এটা আমাদের করতে হবে। স্বাধীনতা রক্ষায় এর বিকল্প নেই।’

৯০ মিনিটের ভাষণজুড়ে আক্রমণাত্মক আর বর্ণবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে গেছেন এই নেতা। বাইডেনের সীমান্ত নীতির সমালোচনা, চীনের নিন্দা, ডেমোক্র্যাটদের কট্টর বামপন্থি বলা আর ‘জাতিবিদ্বেষী’ বক্তব্যের বিভিন্ন অংশে উল্লাসে ফেটে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা।

রাজনৈতিক সংবাদভিত্তিক পোর্টাল পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, নেটিভ আমেরিকানদের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, ‘টাকা খেয়ে আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে ইন্ডিয়ানরা। তৃতীয় বিশ্বের মতো একটা নির্বাচন ছিল সেটি, যেটা আমাদের দেশে এর আগে কখনো হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২০ সালে নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয়েছে, ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদ আর আমাদের সংবাদমাধ্যমগুলোর দুর্নীতির এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর নেই…শতাব্দীর সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ ছিল সেটি।’

করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করে চীনের কাছ থেকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন ট্রাম্প। সে সময় তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান শ্রোতারা।

তবে নিজ দেশে মহামারি নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্প নিজেকে সফল দাবি করার সময় নীরব হয়ে যান সমর্থকরা।

ট্রাম্পের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। তারা মহামারিতে চার লাখের বেশি প্রাণহানি, কোটি মানুষের বেকার হয়ে পড়া, ‘বেপরোয়াভাবে বিপজ্জনক বক্তব্য দেয়ার জন্য’ সাবেক প্রেসিডেন্টকে দায়ী করেন।

নির্বাচনের প্রায় ছয় মাস হতে চললেও পরাজয় স্বীকার করেননি ডনাল্ড ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কের বেডমিনস্টার গলফ রিসোর্টেই দিনের বড় অংশ কাটছে তার।

এ বিভাগের আরো খবর