ইরাকের উত্তরাঞ্চলে এক শরণার্থী শিবিরে তুরস্কের ড্রোন হামলায় তিন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে দুজন।
দেশটির মাখমুর শহরে শনিবার হামলা হয় বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মাখমুর শহরের কুর্দি সংসদ সদস্য রাশাদ গালালি বলেন, ‘শরণার্থী শিবিরে তুরস্ক থেকে আসা কুর্দিরা থাকে। জাতিসংঘ ওই শিবিরে সহায়তা দিয়ে থাকে। সেখানে স্কুলের কাছে এক কিন্ডারগার্টেনকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মাখমুরকে ইরাকের পূর্বাঞ্চলীয় মাউন্ট কান্দিল অঞ্চলের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। মাউন্ট কান্দিলে তুরস্কের নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
এরদোয়ান বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে কান্দিলের মতো মাখমুর ইস্যুও গুরত্বপূর্ণ। কারণ কান্দিলের ইনকিউবেটরে পরিণত হয়েছে মাখমুর। আমরা হস্তক্ষেপ না করলে ইনকিউবেটর ক্রমাগত সন্ত্রাসী উৎপাদন করতে থাকবে।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সে সময় হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘জাতিসংঘ ওই অঞ্চল (মাখমুর) পরিষ্কার না করলে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিষয়টি ফয়সালা করব।’
নব্বইয়ের দশকের মাঝ বরাবর নিরাপত্তার স্বার্থে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সামরিক তৎপরতা বাড়ায় তুরস্কের সেনাবাহিনী।
১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বে কুর্দি-অধ্যুষিত অঞ্চলে দেশটির সেনাদের সঙ্গে প্রায়ই সংঘর্ষ বাধে পিকেকের। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিতে বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দেয় পিকেকে। সেখান থেকে তুরস্ককে লক্ষ্য করে বিমান হামলাও চালানো হয়। জবাবে তুরস্কও ইরাক ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালায়। কখনো কখনো সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হানাও দেয় দেশটি।