বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উইঘুর ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার ইস্যুতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

  •    
  • ৪ জুন, ২০২১ ২০:২৫

শুনানির আয়োজকেরা আশা ব্যক্ত করেন, রাষ্ট্রীয় মদদে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের ওপর চালানো দমন-পীড়নের ঘটনায় সরাসরি এমন সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম চীনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

সংখ্যালঘু উইঘুর জনগোষ্ঠীর ওপর চীনের চালানো নিপীড়ন ‘গণহত্যার’ শামিল কি না, সে বিষয়ে লন্ডনভিত্তিক পিপলস ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে সাক্ষ্য গ্রহণ।

এই ট্রাইব্যুনালের প্রতি কোনও দেশের সমর্থন নেই এবং এর দেয়া কোনো রায় বাস্তবায়নে কোনও সরকারের ওপর বাধ্যবাধকতা নেই।

তবে এই সাক্ষ্য গ্রহণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বেইজিং এই শুনানিকে ‘মিথ্যা বলার যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছে।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে চার দিনের এই শুনানি শুক্রবার শুরু হয়ে চলবে সোমবার পর্যন্ত। এ পর্যায়ে তারা অনেকের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে। সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় পর্যায়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।

চীন গণহত্যা চালিয়েছে কি না, সে বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের ৯ আইনজীবী ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা ডিসেম্বরের মধ্যে একটি প্রতিবেদন গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরবে।

শুনানির আয়োজকরা আশা ব্যক্ত করেন, রাষ্ট্রীয় মদদে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের ওপর চালানো দমন-পীড়নের ঘটনায় সরাসরি এমন সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম চীনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

এই ট্রাইব্যুনালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী জিওফ্রে নাইস। তিনি সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচের বিরুদ্ধেও মামলা পরিচালনা করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যোগ দেয়ার আগে তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেন।

গণহত্যার অভিযোগ অযৌক্তিক: চীন

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের জাতিগত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ ‘অযৌক্তিক’ বলে ফের উড়িয়ে দিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই স্থানীয় সময় গত ৮ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিনজিয়াংকে ঘিরে অপপ্রচার বিশ্বাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমা বিশ্বের রাজনীতিকরা। আদতে সেখানে কী হচ্ছে, তা স্বচক্ষে দেখতে ওই প্রদেশ সফরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছে চীন।

ওয়াং ই বলেন, ‘শিনজিয়াংয়ে তথাকথিত গণহত্যা হাস্যকরভাবে অযৌক্তিক। ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে এ গুজব ছড়ানো হয়েছে। গণহত্যার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুররা গণহত্যার শিকার। চীন সরকার তাদের উৎখাতে কাঠামোগত প্রয়াস বাস্তবায়ন করছে।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেদারল্যান্ডসসহ বেশ কয়েকটি দেশ উইঘুরদের ওপর চীন সরকারের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে।

দেশগুলোর অভিযোগ, জোর করে উইঘুর নারীদের সন্তান ধারণে অক্ষম করা হচ্ছে। পাশাপাশি উইঘুর শিশুদের তাদের পরিবার থেকেও আলাদা করছে চীন সরকার।

বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল, বন্দিশিবিরে উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে।

এ ছাড়া শিবিরগুলোতে কাঠামোগত ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, ক্যাম্পে অন্তত ১০ লাখ উইঘুরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

অবশ্য ওই ক্যাম্পগুলোতে কারিগরি শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে উগ্রবাদ নির্মূল করা হচ্ছে বলে চীনের পক্ষ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয়।

তবে কানাডা, নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্টে উইঘুরদের ওপর ‘গণহত্যা’ হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেন আইনপ্রণেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনও একই মত দেন।

এ বিভাগের আরো খবর