বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালিতে ফ্রান্সের যৌথ সামরিক অভিযান স্থগিত

  •    
  • ৪ জুন, ২০২১ ১২:৪৪

সাময়িক নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে মালির সেনাবাহিনীর জন্য লাভজনক কোনো কার্যক্রমেই অংশ নেবে না ফরাসি সেনারা। মালির বর্তমান সেনা নিয়ন্ত্রিত শাসকগোষ্ঠী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দিলে কয়েকদিন পর এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে প্যারিস।

পশ্চিম আফ্রিকার দুই জোট আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ইকোয়াসে মালির সদস্যপদ স্থগিতের পর দেশটিতে যৌথ সামরিক অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স।

মালিতে নয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থানের জেরে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত জানায় দেশটিতে সাবেক উপনিবেশ স্থাপনকারী রাষ্ট্র ফ্রান্স।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের নিশ্চয়তা না পেলে মালিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অংশ নেবে না দেশটিতে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত ফ্রান্সের সেনারা।

বিবৃতিতে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সাময়িক নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে মালির সেনাবাহিনীর জন্য লাভজনক কোনো কার্যক্রমেই অংশ নেবে না ফরাসি সেনারা। মালির বর্তমান সেনা নিয়ন্ত্রিত শাসকগোষ্ঠী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দিলে কয়েকদিন পর এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।’

আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ইকোয়াসের গৃহীত ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যারিস।

এর আগে মালিতে জঙ্গিবাদের উত্থান দেখা দেয়ার আশঙ্কায় ফরাসি সেনাদের ফিরিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁ।

আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের পাঁচ দেশ বুরকিনা ফাসো, শাদ, মালি, মৌরিতানিয়া ও নাইজারে ফ্রান্সের পাঁচ হাজার ১০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে। শাদ থেকে পরিচালিত এ মিশন শুরু হয় ২০১৩ সালে মালি থেকে জঙ্গিদের উৎখাতের মধ্য দিয়ে।

গত ২৪ মে মালির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট বাহ দাও ও প্রধানমন্ত্রী মুকতার উয়ানেকে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রেসিডেন্ট হন অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আসিমি গোইতা।

আটকের তিন দিন পর দাও-উয়ানে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেলেও তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানায় সেনাবাহিনী।

মালির অন্তবর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী সোমবার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেবেন গোইতা। সেদিন তার সঙ্গে শপথ নিতে পারেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীও।

অন্তর্বর্তী সরকারে নিয়োগ পাওয়া শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রায় সবাই সেনা কর্মকর্তা।

শুরু থেকেই বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ।

২০১২ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কট্টরপন্থিরা ঘাঁটি গাড়ে মালির উত্তরাঞ্চলে। ২০১৩ সালে ইব্রাহিম বুবাকার কেইতা নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেও অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা ফেরেনি।

এ অবস্থায় গত বছরের আগস্টে সেনা অভ্যুত্থানে কেইতা ক্ষমতাচ্যুত হন। দুর্নীতি ও উগ্রবাদীদের দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে গণআন্দোলনের জেরে কর্নেল আসিমি গোইতার নেতৃত্বে তরুণ সেনারা উৎখাত করে তাকে।

তখন থেকে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেয়া হয় দাও-উয়ানেকে। তাদের গঠিত সরকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন আসিমি গোইতা। এ ছাড়া সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া হয় আরও অনেক সেনা কর্মকর্তাকে।

কেইতার অপসারণকে মালির সাধারণ জনগণ স্বাগত জানালেও অন্তর্বর্তী সরকারে সেনাবাহিনীর প্রভাব বিস্তার নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল দেশটিতে। এ ছাড়া নতুন সরকারের দেয়া সংস্কারের আশ্বাসের বাস্তব প্রতিফলন ঘটছিল না মালিতে।

এমন পরিস্থিতিতে রদবদলের মাধ্যমে সেনা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়া ও এর জেরে দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের ঘটনায় উত্তপ্ত মালির অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রাজনীতি।

এ বিভাগের আরো খবর