কোভিড-১৯ মহামারির মারাত্মক দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে ৬২৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজধানী দিল্লিতে চিকিৎসকদের মধ্যে সর্বাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
দিল্লিতে কোভিডের কারণে ১০৯ জন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন, তারপরেই বিহারে ৯৬ জন মারা গেছেন।
করোনা এদেশে থাবা বসানোর পর থেকে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তবে ওই রাজ্যে চিকিৎসকের মৃত্যু তুলনামূলক কম। সেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারা গিয়েছেন ২৩ জন।
উত্তরপ্রদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারা গিয়েছেন ৭৯ জন। রাজস্থানে মারা গিয়েছেন ৪৩ জন। ঝাড়খণ্ডে ৩৯ জন। অন্ধ্রে ৩৪ জন, তেলঙ্গনায় ৩২ জন, গুজরাটে ৩১ জন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারা গিয়েছেন ৩০ জন চিকিৎসক।
কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনে সহায়তা করা একটি দাতব্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রবিকান্ত সিংহ বলেছিলেন, তিনি অনেক রাত ঘুমানোর জন্য লড়াই করেছিলেন।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, ‘কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ চিকিৎসকদের জন্য জীবন-পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। সবচেয়ে খারাপ দিকটি ছিল, অক্সিজেনের অভাবে আমরা অনেক জীবন বাঁচাতে পারিনি।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ পেরিয়ে গেছে। সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়েছে চিকিৎসকদের।
অনেক সময়ই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, কাকে বাঁচাবেন আর কাকে নয়। কারণ অক্সিজেন আর ওষুধের জোগান ছিল সীমিত। আর এই করতে গিয়েই নিজেদের দিকে তাকাতে পারেননি চিকিৎসকরা। বলি হয়েছেন মারণ রোগের।